চীনের
পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে দেশটির স্টক ডিলাররা ১২০ বিলিয়ন ইয়েন বা ১৯ দশমিক ৩
বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে সম্মত হয়েছে। দেশটির ২১টি ব্রোকারেজ হাউসের
প্রতিনিধিদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা
গেছে—গত প্রায় এক মাস ধরে চীনের প্রধান শেয়ারবাজার সাংহাই স্টক
এক্সচেঞ্জের কম্পোজিট সূচকের পতন হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে শুক্রবার
সূচকটির পতন হয়েছে ৬ শতাংশ। সূচকের এ পতনকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য চায়না সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশন
(সিএসআরসি)।
এ
অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির ব্রোকারেজে হাউসগুলো এগিয়ে এসেছে।
তারা তাদের সম্পদ মূল্যের ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করবে। তাদের সম্মিলিত বিনিয়োগের
পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন ইয়েনের কম হবে না। এ ছাড়া সূচক সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টের
নিচে নেমে আসায় স্টক ডিলাররা তাদের ধারণকৃত শেয়ার বিক্রি না করারও ঘোষণা
দিয়েছেন। চায়না সিকিউরিটিজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিনিয়োগের এ বিষয়টি
নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া, সব ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ
দিকে, বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে এবং বাজার পরিস্থিতি সামাল
দিতে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ১১টি কোম্পানির নির্বাহীরা বাজার
থেকে শেয়ার কেনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরকারি কিছু কোম্পানি এরই মধ্যে বিপুল
পরিমাণ শেয়ার বাই-ব্যাক করেছে।
এ
দিকে, গত এক বছরে তরতর করে বেড়েছে বাজারের সূচক। এ সময়ে সূচক প্রায়
দ্বিগুণ হয়ে যায়। অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে আসে। তবে এ পরিস্থিতিতে
বাজারে সূচকের অকারণ বৃদ্ধি ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ার কেনার জন্য ঋণ
সুবিধা কমিয়ে দেয়। এর পরই বাজারে পতন শুরু হয়।