পৃথিবী
সদৃশ আরো একটি গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
নাসা। নাসার কেপলার টেলিস্কোপের সাহায্যে এই গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। গতকাল
সংবাদ সম্মেলন করে নাসার বিজ্ঞানীরা এই তথ্য জানান। গ্রহটিকে তারা কেপলার
৪৫২বি নামে অভিহিত করেছেন। আমাদের এই পৃথিবীর সাথে গ্রহটির এত মিল যে
বিজ্ঞানীরা এটিকে ‘‘আর্থ ২.০’’ বলছেন।
মার্কিন
মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, ওই গ্রহটি পৃথিবীর
অনুকরণে সূর্যের মতোই একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। নাসার দাবি,
নক্ষত্রটি থেকে ওই গ্রহের যা দূরত্ব, তাতে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, ওই নতুন গ্রহটির চরিত্রগত বৈশিষ্ঠ্যও পৃথিবীর মতোই
পাথুরে। পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে প্রাণের খোঁজে যে নিরন্তর প্রচেষ্টা
চলছে, এই গ্রহের আবিষ্কার সেই দিক থেকে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে
করছেন বিজ্ঞানীরা।
২০০৯
সালে উেক্ষপণ হওয়া কেপলার টেলিস্কোপের প্রধান কাজ হল মহাকাশে এমন গ্রহের
খোঁজ চালানো, যেগুলি তাদের নিজস্ব ‘সূর্য’ থেকে এমন দূরত্বে রয়েছে, যতটা
দূরত্ব পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরিভাষায় এই
দূরত্বকে বলা হয় ‘গোল্ডিলক জোন’। মূলত, এই অঞ্চলে থাকা গ্রহগুলিতে প্রাণের
উত্স মেলার সম্ভাবনা প্রবল বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা। গত ৬ বছর ধরে
মহাকাশে নিরন্তর এক্সো-প্ল্যানেটের খোঁজ চালাচ্ছে কেপলার। প্রায় ১ লক্ষ
তারাকে টার্গেট করে তাদের চারদিকে ঘোরা বিভিন্ন গ্রহকে পরীক্ষা করেছে
কেপলার।
নতুন
আবিষ্কৃত গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বড়। আর পৃথিবী থেকে এটি ১৪শ’
আলোকবর্ষ দূরে। গ্রহটি প্রতি ৩৮৫ দিনে তার ‘সূর্য’ কে প্রদক্ষিণ করে;
অর্থাত্ ওই গ্রহে ৩৮৫ দিনে এক বছর। নাসা জানিয়েছে, হয়ত এক বিরাট মাপের
আবিষ্কারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। কয়েক হাজার বছর ধরে আমরা সকলে
ভিনগ্রহে প্রাণী সম্বন্ধে বহু স্বপ্ন দেখে এসেছি, বহু রূপকথা শুনে এসেছি।
এখন সেই সব কল্পনা সত্যি হলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না। খবর বিবিসি ও
সিএনএনের।