ঈদ মানেই উত্সবের রঙে নিজেকে রাঙানো। তবে আধুনিক তারুণ্যের মধ্যে যারা বর্ণিল রঙে যুগপত্ রাঙাতে চান, তাদের কথা মাথায় রেখেই ফ্যাশন ডিজাইনাররা যুগলবন্দি পোশাকের ডিজাইন করছেন। এতে পরিবারের সকলের উপযোগী করে পোশাকের উপস্থাপনায় আনা হয়েছে মেলবন্ধন। সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি কিংবা শাড়ি সবকিছুইতেই থাকছে ফেব্রিক, ডিজাইন বা মোটিফের যুগপত্ উপস্থাপনা। ফ্যাশনে যুগলবন্দি পোশাক নিয়ে এবারের মূলফিচার। লিখেছেন নওশীন শর্মিলী
ফ্যাশন হলো সময়ের বাহন। সময়ের হাওয়ায় ফ্যাশন বদলাতে থাকে নিত্যনতুন আঙ্গিকে। আধুনিক তারুণ্যের মধ্যে যারা বর্ণিল রঙে যুগপত্ রাঙাতে চান, তাদের কথা মাথায় রেখেই ফ্যাশন ডিজাইনাররা যুগলবন্দি পোশাকের ডিজাইন করছেন। এতে পরিবারের সকলের উপযোগী করে পোশাকের উপস্থাপনায় আনা হয়েছে মেলবন্ধন। সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি কিংবা শাড়ি সবকিছুইতেই থাকছে ফেব্রিক, ডিজাইন বা মোটিফের যুগপত্ উপস্থাপনা। সালোয়ার-কামিজ আর কুর্তার প্যাটার্নে এবার থাকছে লং এবং গাউন স্টাইল, কিছু কাটিংয়ে থাকছে ঘের এবং বডি ফিটিংস। মূলত ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে পোশাক ডিজাইনাররা যুগল আর পরিবারের সদস্যদের কথা চিন্তা করে একই রঙের পোশাক বানানো শুরু করেন। এখন আর ভালোবাসা দিবসে সীমাবদ্ধ নেই এই আয়োজন। সব উত্সবে ফ্যাশন হাউসগুলো যুগলবন্দি পোশাক তৈরি করে। ফ্যাশন হাউস অঞ্জন’সের যুগল পোশাকগুলো বেশ গর্জিয়াস নকশা করা। টিনএজারদের জন্য তারা ফিউশনধর্মী ভিন্ন কাটিংয়ে একই নকশার পোশাক তৈরি করে। মাঝ বয়সী আর পরিবারের সবার কথা চিন্তা করে রং আর নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। অঞ্জন’সের শীর্ষ নির্বাহী ও ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন আহম্মেদ বলেন, ‘উত্সবে মূলত প্রিয়জনের সঙ্গে মিলিয়ে অনেকেই একই রকম পোশাক পরতে চায়। সে কারণে অঞ্জন’সের পোশাকগুলো একটু গর্জিয়াসভাবে তৈরি করা হয়। এসব পোশাকে একই রকমের এমব্রয়ডারি, ব্লক, স্ক্রিন প্রিন্ট, অ্যাপ্লিকসহ মিক্সড মিডিয়ার কাজ থাকে। বিভিন্ন রেঞ্জে আমরা এসব পোশাক তৈরি করি যাতে সবাই কিনতে পারেন। এ ছাড়া উত্সবের ধরন বুঝেও আমরা পোশাক তৈরি করি। ঈদে এক রকম আবার ভ্যালেন্টাইন আর ফাল্গুনে আরেক রকম হয় পোশাকের নকশা-কাটিং। উত্সব পার্বণে এখন যুগল পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। বয়স আর পরিবেশের কথা চিন্তা করে ডিজাইনাররা এসব পোশাক তৈরি করছেন। দেশীয় নকশার সঙ্গে মিল রেখে পাশ্চাত্য কাটিংয়ের মিশ্রণে তরুণদের জন্য তৈরি হচ্ছে ভিন্নধর্মী পোশাক। প্রথম দিকে এসব পোশাকে তরুণদের আগ্রহ বেশি থাকলেও এখন সব বয়সীদের পছন্দের তালিকায় স্থান পেয়েছে যুগল পোশাক।’ ফ্যাশন হাউজ কে ক্র্যাফটের খালিদ মাহমুদ খান বলেন, ‘আমরা ভ্যালেন্টাইন আর ফাল্গুনকে সামনে রেখে মেয়েদের শাড়ির নকশা নিয়ে ছেলেদের পাঞ্জাবির নকশা করেছিলাম। আবার ভ্যালেন্টাইনে একই রং আর নকশার শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছেলেমেয়েদের ফতুয়া তৈরি করি। বন্ধু দিবসেও আমরা বন্ধুদের জন্য পোশাক তৈরি করি। তরুণদের মধ্যে তখন খুব সাড়া ফেলে আমাদের যুগল ডিজাইনের পোশাকগুলো। এখন তো আমরা প্রতিটি উত্সব আর পার্বণে শুধু কাপল নয়, পরিবার আর বন্ধুদের জন্য পোশাক তৈরি করি। ক্রেতারা এ পোশাকগুলো ভালোভাবে গ্রহণ করেছে বলে আমরা প্রতিটি উত্সবের জন্য এমন পোশাক তৈরি করছি।’