একবিংশ শতকের করপোরেট দুনিয়াটার ব্যবস্থাপনা পরিচালনকে বদলে দিয়ে মূল ভূমিকা রেখেছে ব্ল্যাকবেরি। বোদ্ধারা তা-ই বলেন। কাজ, অফিস এবং লক্ষ্য পূরণের হাত থেকে পালানোর কোনো পথই নেই। ব্যক্তিগত এবং পেশাজীবনের মাঝে পরিষ্কার দেয়াল গড়ে তোলা হয়েছে। আর আক্ষরিক অর্থেই, তারা কাজপাগল এক করপোরেট প্রজন্ম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
আট ঘণ্টার কর্মদিবস অনেক পেশাদারের কাছে মূল্য হারিয়েছে। অফিসই তাদের বাসা-বাড়ি হয়ে গেছে। আর কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী কাজের জিনিস হয়ে উঠেছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং-এর প্রতিষ্ঠাতা কুশাল মেহতা বলেন, 'আমার দলে বেশ কয়েকজন কাজপাগল কর্মী রয়েছেন। গড়ে তারা ১৪ ঘণ্টা কাজে ডুবে থাকেন। কোনো সন্দেহ নেই, এই মানুষগুলো জীবনটাকে কাজে সঁপে দিয়েছেন। অথচ আমি নিজেই ঘড়ি দেখে কাজ করি। তবে যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, ল্যাপটপের মাধ্যমে সব সময় কাজের মধ্যেই রয়েছি। এটাই জীবন হয়ে গেছে।
পরিবেশটাকে এমন করেছে প্রযুক্তি। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা লক্ষ্য অর্জনের সীমারেখা বেঁধে দিয়েছে। তবে সমস্যা ও তার সমাধানে গোটা বিশ্ব চষে ফেলার ব্যবস্থাও করেছে কম্পিউটার। তাই পুরনো আমলের মানুষরা বোঝেন না, আধুনিক পেশাজীবীরা এত সময় কি কাজ করেন।
এই কাজপাগল মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে ধীরে ধীরে দখল নিচ্ছে তা। মানুষ অনুষ্ঠান, পরিবার বা আড্ডাতেও কাজ করে চলেছে।
তবে সমস্যাটা হলো, কাজপাগল মানুষগুলো নানা দৈহিক এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এটা খুবই সাধারণ বিষয় যে, এসব মানুষ পরিবার-স্বজনদের সময় দিতে পারেন না। ক্রমেই তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। হাইপারটেনশন, এসিডিটিসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা তো রয়েছেই। তাই দুই জীবনের মাঝে সমন্বয় করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
আট ঘণ্টার কর্মদিবস অনেক পেশাদারের কাছে মূল্য হারিয়েছে। অফিসই তাদের বাসা-বাড়ি হয়ে গেছে। আর কম্পিউটার সবচেয়ে শক্তিশালী কাজের জিনিস হয়ে উঠেছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং-এর প্রতিষ্ঠাতা কুশাল মেহতা বলেন, 'আমার দলে বেশ কয়েকজন কাজপাগল কর্মী রয়েছেন। গড়ে তারা ১৪ ঘণ্টা কাজে ডুবে থাকেন। কোনো সন্দেহ নেই, এই মানুষগুলো জীবনটাকে কাজে সঁপে দিয়েছেন। অথচ আমি নিজেই ঘড়ি দেখে কাজ করি। তবে যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, ল্যাপটপের মাধ্যমে সব সময় কাজের মধ্যেই রয়েছি। এটাই জীবন হয়ে গেছে।
পরিবেশটাকে এমন করেছে প্রযুক্তি। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা লক্ষ্য অর্জনের সীমারেখা বেঁধে দিয়েছে। তবে সমস্যা ও তার সমাধানে গোটা বিশ্ব চষে ফেলার ব্যবস্থাও করেছে কম্পিউটার। তাই পুরনো আমলের মানুষরা বোঝেন না, আধুনিক পেশাজীবীরা এত সময় কি কাজ করেন।
এই কাজপাগল মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে ধীরে ধীরে দখল নিচ্ছে তা। মানুষ অনুষ্ঠান, পরিবার বা আড্ডাতেও কাজ করে চলেছে।
তবে সমস্যাটা হলো, কাজপাগল মানুষগুলো নানা দৈহিক এবং মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এটা খুবই সাধারণ বিষয় যে, এসব মানুষ পরিবার-স্বজনদের সময় দিতে পারেন না। ক্রমেই তারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। হাইপারটেনশন, এসিডিটিসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা তো রয়েছেই। তাই দুই জীবনের মাঝে সমন্বয় করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া