মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তাদের আগাম জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়ে বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে রানা ও মুক্তিকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে আদালত আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি করে হত্যার পর তার বাড়ির সামনে লাশ ফেলে রাখা হয়। এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আসামিদের জবানবন্দিতে ওই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে এমপি আমানুর রহমান খান রানা, মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি ও তার দুই ভাইয়ের নাম উঠে আসে। এমপির ওই দুই ভাই হচ্ছেন জাহিদুর রহমান খান (কাঁকন) ও সানিয়াত খান (বাপ্পা)। পরে তারা হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন দাখিল করেন। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করতে পারে এই আশংকা থেকেই এই জামিন চাওয়া হয়। পরে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশিরউল্লাহ শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেয়।