বেড়েই যাচ্ছে, যা হিসাবের বাইরে।’
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন বলেন, ‘এখানকার প্রতিটি সড়কে তিন-চার ফুট পানি উঠেছে। ড্রেজিংয়ের নামে কর্ণফুলী সংকুচিত করে ফেলায় চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের এ পরিণতি হয়েছে। পানিতে এ সব ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ সময় লেগে যাবে।’
এর সঙ্গে গুনতে হবে ব্যাংক ঋণের বিপরীতে উচ্চহারে সুদ, কর্মচারীদের বেতনসহ আনুষঙ্গিক খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হবে। বিভিন্ন খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি।
খাতুনগঞ্জ মেসার্স হক ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, ‘শুক্রবার বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে দোকানের সব পণ্য নষ্ট করে দিয়ে গেছে। এর পর শনিবার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি না থাকলেও দিনে দুইবার জোয়ারের পানির কারণে বেচা-কেনা বন্ধ রাখতে হয়েছে। কাস্টমারের জন্য পণ্য সাজিয়ে রাখা যাচ্ছে না।’
খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগির আহমদ বলেন, ‘পানির সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারের কাছে চাক্তাই, রাজাখালী খালের মোহনায় স্লুইস গেট নির্মাণ ও শাখা খালগুলো গভীরভাবে খননের দাবি করে আসছি। কিন্তু কোনো সরকার আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। নতুন মেয়র আ জ ম নাছিরকেও আমরা এ ব্যাপারে অবহিত করেছি। কারণ পণ্য কেনাবেচা বন্ধ হয়ে গেলে খুচরা বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের দিকে নজর না দেয় তাহলে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। আর এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।