জয়পুরহাট সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিপীড়িত ছাত্রের মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, জেলা শহরের মণ্ডলপাড়ার এক প্রবাসীর পুত্র সন্তান জয়পুরহাট সদর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ে। সোমবার টিফিনের সময় ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম তাকে মটরসাইকেলে করে নতুনহাটের নিজ বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটির ওপর যৌন নিপীড়ন চালানো হয়।
এ সময় শিশুটি আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং পানি খেতে চায়। তৌহিদুল পানি আনতে অন্য ঘরে গেলে শিশুটি কৌশলে দরজা খুলে উলঙ্গ অবস্থায় পালিয়ে যায়।
সে বাড়ি ফিরে বিষয়টি মাকে জানায়। শিশুটির মা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ এর ১০ ধারায় জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৯, তারিখ: ১৭/১১/১৫। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ তৌহিদলকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এ ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তৌহিদুল ইসলাম নিজেকে জয়পুরহাট পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার এ বিষয়ে বলেন, ঘটনা জেনেছেন তবে সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তৌহিদুল ইসলাম সবসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল ওই স্কুলে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন তৌহিদুল ইসলাম।
শিশুটির মা অভিযোগ করেছেন, বিষয়টি নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি না করার জন্য তাকে ইতিমধ্যে হুমকি দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, তার স্বামী বিদেশে চাকরীরত এবং তিনি স্থানীয় মহুরুল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষিকা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষক তৌহিদুল ইসলামের শাস্তির দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকটও একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে।