গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

লিয়াকত হোসাইন লায়ন: তীব্র শীতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মানুষরা। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতে কাবু হয়ে দুর্দশার মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষেরা। তীব্র ঠান্ডায় স্বাভাবিক চলাফেরা বিঘœ ঘটছে।

Poor people in the char areas spend sleepless nights due to lack of warm clothes
গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের




যমুনা, ব্রহ্মপুত্র বিধৌত উপজেলাটি শীতের তীব্রতা তুলনামুলকভাবে বেশি। শৈত প্রবাহ, ঘন কুয়াশায় ঢেঁকে গেছে পুরো উপজেলা। যমুনা চরাঞ্চল বাসীর মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। চরাঞ্চলে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় প্রচন্ড শীতে জামালপুরে ইসলামপুর জীবনযাত্রা বিপন্ন হয়ে পরেছে। শুষ্ক আবহাওয়া, বাতাসের মধ্যে আদ্রতা কমে যাওয়া, জেট বায়ু ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি চলে আসার কারণেই তাপমাত্রা এতো বেশি নিচে নেমেছে।

তীব্র শীতকে মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে নির্ঘুম রাত কাটে চরাঞ্চল গ্রামের দরিদ্র মানুষের। কাঠ-খড়ের জ্বালানো আগুনের উত্তাপই তাদের ভরসা। অন্যান্য বছর শীতের শুরুতে দানশীল মানুষের কম্বল ও গরম কাপড় বিতরণের খবর পাওয়া গেলেও এবার এখনো তাদের দেখা মেলেনি। যমুনার চরাঞ্চল মানুষগুলো পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে দিনগুলো অতিবাহিত করছে।

হিমেল হওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। শীতে কাবু হয়ে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পাখিও। এদিকে ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। অনেকেই পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন বীজতলা। প্রচন্ড শীতে শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ বেড়েছে। শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগে।

সরেজমিনে গেলে, বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়া গ্রামের মোতালেব হোসেন বলেন, বেরাহা ঠান্ডায় হাঁটাচলা করতে পাইতেছিনা। সারাদিন আগুন নিয়ে বসি থাহি। ওই গ্রামের শাবানা বেগম বলেন, যে ঠান্ডা পড়ছে, আমরা নদীভাঙ্গা মানুষ। আংগরে কিছু আনবের গেলে নদী পাড় হওয়ন নাগে। তাই যাবের পাইনে, ওবেই থাহি। এটা কম্বল নেপ নাই ,খেতা নিয়ে ঝার ছারেনা।

সাপধরী ইউনিয়নের কাঁশারী ডোবা গ্রামের রহমত আলী বলেন, ঠান্ডায় বাইত থাহন যায়না। খুব কষ্ট করে আছি পোলাপান নিয়া। পাথর্শী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ যমুনা নদীর পাড়ের জাফর আলী বলেন, নদীর পাড়ে বাড়ি হওয়ায় নদীর ঠান্ডা বাতাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। কর্ম করতে পারছিনা অনেক সমস্যা হচ্ছে। কুলকান্দি ইউনিয়নের বেড়কুশা গ্রামের আলম মিয়া জানান, যমুনার পাড়ে বাড়ি হওয়ায় শীতে অনেক কস্টে দিন পার করছি। 

শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেক মানুষ খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে রাস্তা পাশে বা খোলা স্থানে আগুন পোহাচ্ছেন। নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তীব্র শীতের অনেকেই কাজের সন্ধানে ঘর থেকে বের হতে না পারায় তাদের আয়-রোজগার বন্ধ হয়েছে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শীতার্ত মানুষের জরুরী ত্রাণ সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন


শীতের তীব্রতা- নিয়ে আরও পড়ুন
কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবন কাহিল
কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে জনজীবন কাহিল
কুড়িগ্রামের প্রত্যান্ত চরে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
কুড়িগ্রামের প্রত্যান্ত চরে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ
কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা নেই দুদিন, বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা
কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা নেই দুদিন, বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা
রৌমারীতে নতুন বছরে দেখা মেলেনি সূর্য্যরে আলো
রৌমারীতে নতুন বছরে দেখা মেলেনি সূর্য্যরে আলো
কুয়াশার চাদরে মোড়া কুড়িগ্রাম, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ
কুয়াশার চাদরে মোড়া কুড়িগ্রাম, বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top