পুঁজিবাজারে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের সময়সীমা অন্তত ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান।
ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রত্যাহারে সময় বাড়ানোর পাশাপাশি পুঁজিবাজারে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ মূল কোম্পানির বিনিয়োগ হিসেবে গণনা না করার দাবিও জানিয়েছে তারা। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার, করপোরেট বন্ড ও তালিকাভুক্ত শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদি-কৌশলগত বিনিয়োগও ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার গণনা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। খুব শিগগির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এসব প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হবে বলে বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী—২০১৬ সালের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সময়সীমা ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো প্রয়োজন।
তারা বলছেন—বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজার চাঙা করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাই আমাদের দেশেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
এ দিকে, ব্যাংকের বিনিয়োগ বিষয়ে বিভিন্ন দাবি ছাড়াও বিএসইসির প্রতি সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের অনাদায়ী লোকসানের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর ৩(৫) উপধারা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে ব্রোকারেজ হাউজের নতুন শাখা খোলার অনুমতি দেয়া প্রয়োজন বলেও মনে করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

