সেবা ডেস্ক: নিজের এলাকার একটি স্কুলে শিশু ভর্তি হবে, সময় ও অর্থ ব্যয়ে দূরে যেতে
হবে না—এটাই তো স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ অক্টোবরের
বিশ্ব শিশু দিবসে শিশু একাডেমীর অনুষ্ঠানে এই কথাই বলেছেন। ‘পাড়ার স্কুলে
ভর্তি হওয়া একটি শিশুর অধিকার’, তাঁর বক্তব্য।
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, তাঁরা যেন প্রতিটি শিশু নিজের এলাকার বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা এবং মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আগামী জানুয়ারিতে, নতুন বছরের শুরুতে, পাঁচ ও ছয় বছর বয়সের আনুমানিক ৫০ লাখ শিশু প্রাক্-প্রথম এবং প্রথম শ্রেণিতে এক লাখেরও বেশি স্কুলে ভর্তি হতে চাইবে। রাজধানী ঢাকায় ভর্তির সমস্যা বিশেষভাবে প্রকট। এখানে প্রাক্-প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি শিশু নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে নাম লেখাবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সদিচ্ছা পূরণের চেষ্টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি কোটা ও লটারির ভিত্তিতে নতুন ছাত্র ভর্তির জন্য পরিপত্র জারি করেছে। রাজধানী ঢাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী প্রাক্-প্রথম ও প্রথম শ্রেণিতে শূন্যস্থান পূরণের জন্য লটারির মাধ্যমে স্কুলের সেবা এলাকা (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) থেকে নির্দিষ্ট বয়সের ছাত্রকে ভর্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হবে। পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ছাত্র নির্বাচিত হবে। উভয় ক্ষেত্রেই অন্তত ৪০ শতাংশ ছাত্রকে স্কুলের সেবা এলাকা থেকে ভর্তির বিধান দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে প্রতি স্কুলের সেবা এলাকা নির্ধারণ, ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশ ইত্যাদির বিস্তারিত নিয়ম ও বিধি বলে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০১৫ পরিপত্রে আছে ২৫টি ধারা ও ২৫টি উপধারা। এসব ধারায় শিক্ষার্থীর বয়স; ঢাকা মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি গঠন; ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা ও পদ্ধতি; পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন; আবেদনপত্র ও এ জন্য ফি; উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল তৈরি ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে।
একইভাবে বেসরকারি স্কুলের জন্যও পরিপত্র জারি হয়েছে। শিক্ষার্থীর সঠিক বয়স নিরূপণ, প্রতি বিদ্যালয়ের সেবা এলাকা নির্ধারণ এবং সেই এলাকায় বসবাসকারী নিরূপণ সহজ নয়। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও ন্যায়ানুগভাগে সম্পন্ন করা ও সামগ্রিকভাবে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য পরিপত্রে অনেক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহানগরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার মহাপরিচালক ও শিক্ষা বোর্ডের প্রধানসহ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সময় ও মান বণ্টনের বিধি বলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোকে ক্যাচমেন্ট এরিয়া ও সম্ভাব্য শিক্ষার্থী নির্ধারণের জন্য এলাকার জরিপ ও তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় প্রতিটি স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করবেন বলে বলা হয়েছে। ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্বে ক্যাচমেন্ট এলাকা জরিপ করে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সমাপনী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীর তথ্যের জন্য জরিপ ছাড়াও ক্যাচমেন্ট এরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।’ (বেসরকারি স্কুল ভর্তি পরিপত্র ধারা ৬(গ)।
ভর্তি ও কোটা-সংক্রান্ত পরিপত্র নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ। তবে অনেক বিধিবিধান জারি করে ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’র ব্যবস্থা করা হয়েছে কি?
ভর্তি সমস্যার মূলে সারা দেশের জন্য এবং বিশেষত রাজধানীর জন্য যথেষ্ট মানসম্পন্ন বিদ্যালয়ের অভাব। মান রক্ষার জন্য যোগ্য শিক্ষক, ভৌত কাঠামো ও যথার্থ ব্যবস্থাপনার অভাব। পিতা–মাতা স্বভাবতই মানসম্পন্ন বলে পরিচিত স্কুলে তাদের সন্তানদের ভর্তি করতে চান। সে জন্য অনেক ভোগান্তি সত্ত্বেও দূরের স্কুলেও সন্তানদের পাঠান। ভর্তি পরীক্ষা ও কোটার নির্দেশ দিয়ে কি এই মূল সমস্যার সমাধান হবে?
স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেবা এলাকা নির্ধারণ ও সম্ভাব্য সব শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা একটা দুরূহ দায়িত্ব এবং এ নিয়ে বিবাদ বিতর্কেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে ৪০ শতাংশের কোটা এবং অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র নির্বাচনে স্ববিরোধিতা দেখা যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল না করলে সেই শিশুদের কী হবে? তারা বিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?
মূল সমস্যার সহজ সমাধান নেই। এ জন্য বিশেষত রাজধানী এলাকায়, সিটি করপোরেশনকে যুক্ত করে এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী অভিভাবকসহ বর্তমান বিদ্যালয়ের সংস্থান ও সম্ভাব্য শিক্ষার্থী যাচাই করে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ও ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। এ ব্যাপারে প্রতি এলাকার নামীদামি বিদ্যালয়গুলোকেও যুক্ত করতে হবে, যেন তারা নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ এলাকায় শিশুদের জন্য কিছু স্থান সংরক্ষিত রাখে। ভারতে সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা আইন করা হয়েছে, যেন দামি প্রাইভেট স্কুলগুলোও নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ স্থান নিজ এলাকার দরিদ্র শিশুর জন্য সংরক্ষিত রাখে। আমাদের সরকারি পরিপত্রে এ রকম কিছু ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে কিছু করণীয় আছে কি?
প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, তাঁরা যেন প্রতিটি শিশু নিজের এলাকার বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, শিক্ষা এবং মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আগামী জানুয়ারিতে, নতুন বছরের শুরুতে, পাঁচ ও ছয় বছর বয়সের আনুমানিক ৫০ লাখ শিশু প্রাক্-প্রথম এবং প্রথম শ্রেণিতে এক লাখেরও বেশি স্কুলে ভর্তি হতে চাইবে। রাজধানী ঢাকায় ভর্তির সমস্যা বিশেষভাবে প্রকট। এখানে প্রাক্-প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি শিশু নতুন শিক্ষার্থী হিসেবে নাম লেখাবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ও সদিচ্ছা পূরণের চেষ্টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি কোটা ও লটারির ভিত্তিতে নতুন ছাত্র ভর্তির জন্য পরিপত্র জারি করেছে। রাজধানী ঢাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী প্রাক্-প্রথম ও প্রথম শ্রেণিতে শূন্যস্থান পূরণের জন্য লটারির মাধ্যমে স্কুলের সেবা এলাকা (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) থেকে নির্দিষ্ট বয়সের ছাত্রকে ভর্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্যস্থান পূরণের জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হবে। পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ছাত্র নির্বাচিত হবে। উভয় ক্ষেত্রেই অন্তত ৪০ শতাংশ ছাত্রকে স্কুলের সেবা এলাকা থেকে ভর্তির বিধান দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে প্রতি স্কুলের সেবা এলাকা নির্ধারণ, ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া, সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য নির্দেশ ইত্যাদির বিস্তারিত নিয়ম ও বিধি বলে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা ২০১৫ পরিপত্রে আছে ২৫টি ধারা ও ২৫টি উপধারা। এসব ধারায় শিক্ষার্থীর বয়স; ঢাকা মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভর্তি কমিটি গঠন; ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা ও পদ্ধতি; পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন; আবেদনপত্র ও এ জন্য ফি; উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল তৈরি ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে।
একইভাবে বেসরকারি স্কুলের জন্যও পরিপত্র জারি হয়েছে। শিক্ষার্থীর সঠিক বয়স নিরূপণ, প্রতি বিদ্যালয়ের সেবা এলাকা নির্ধারণ এবং সেই এলাকায় বসবাসকারী নিরূপণ সহজ নয়। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও ন্যায়ানুগভাগে সম্পন্ন করা ও সামগ্রিকভাবে দক্ষ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য পরিপত্রে অনেক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহানগরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার মহাপরিচালক ও শিক্ষা বোর্ডের প্রধানসহ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সময় ও মান বণ্টনের বিধি বলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোকে ক্যাচমেন্ট এরিয়া ও সম্ভাব্য শিক্ষার্থী নির্ধারণের জন্য এলাকার জরিপ ও তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির সহায়তায় প্রতিটি স্কুলের ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্ধারণ করবেন বলে বলা হয়েছে। ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পূর্বে ক্যাচমেন্ট এলাকা জরিপ করে সম্ভাব্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রাথমিক সমাপনী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীর তথ্যের জন্য জরিপ ছাড়াও ক্যাচমেন্ট এরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করবেন।’ (বেসরকারি স্কুল ভর্তি পরিপত্র ধারা ৬(গ)।
ভর্তি ও কোটা-সংক্রান্ত পরিপত্র নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনের জন্য বিশেষ উদ্যোগ। তবে অনেক বিধিবিধান জারি করে ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’র ব্যবস্থা করা হয়েছে কি?
ভর্তি সমস্যার মূলে সারা দেশের জন্য এবং বিশেষত রাজধানীর জন্য যথেষ্ট মানসম্পন্ন বিদ্যালয়ের অভাব। মান রক্ষার জন্য যোগ্য শিক্ষক, ভৌত কাঠামো ও যথার্থ ব্যবস্থাপনার অভাব। পিতা–মাতা স্বভাবতই মানসম্পন্ন বলে পরিচিত স্কুলে তাদের সন্তানদের ভর্তি করতে চান। সে জন্য অনেক ভোগান্তি সত্ত্বেও দূরের স্কুলেও সন্তানদের পাঠান। ভর্তি পরীক্ষা ও কোটার নির্দেশ দিয়ে কি এই মূল সমস্যার সমাধান হবে?
স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেবা এলাকা নির্ধারণ ও সম্ভাব্য সব শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা একটা দুরূহ দায়িত্ব এবং এ নিয়ে বিবাদ বিতর্কেরও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। একদিকে ৪০ শতাংশের কোটা এবং অন্যদিকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্র নির্বাচনে স্ববিরোধিতা দেখা যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফল না করলে সেই শিশুদের কী হবে? তারা বিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে?
মূল সমস্যার সহজ সমাধান নেই। এ জন্য বিশেষত রাজধানী এলাকায়, সিটি করপোরেশনকে যুক্ত করে এবং এলাকার শিক্ষানুরাগী অভিভাবকসহ বর্তমান বিদ্যালয়ের সংস্থান ও সম্ভাব্য শিক্ষার্থী যাচাই করে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ও ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। এ ব্যাপারে প্রতি এলাকার নামীদামি বিদ্যালয়গুলোকেও যুক্ত করতে হবে, যেন তারা নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ এলাকায় শিশুদের জন্য কিছু স্থান সংরক্ষিত রাখে। ভারতে সংবিধান সংশোধনীর দ্বারা আইন করা হয়েছে, যেন দামি প্রাইভেট স্কুলগুলোও নতুন ভর্তির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ স্থান নিজ এলাকার দরিদ্র শিশুর জন্য সংরক্ষিত রাখে। আমাদের সরকারি পরিপত্রে এ রকম কিছু ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে কিছু করণীয় আছে কি?