নির্মাণ কাজ শেষ না হতেই ভেঙে পড়েছে জেলায় গঙ্গাচড়ায় নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর গার্ডার। গার্ডার স্থাপনের সময় স্থানান্তর যন্ত্রের ত্রুটির কারণেই গার্ডারটি ভেঙে যায় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে স্থানীয় লোকজনের দাবি, নিম্নমানের কাজ করায় গার্ডার ভেঙে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের মে মাসে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর-কালিগঞ্জ রুটে ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৫ মিটার প্রস্থের দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাভানা কন্সট্রাকশন লিমিটেড। ১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সময় থাকলেও কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় মেয়াদে আগামী বছরের জুন মাস পর্যস্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে এ পর্যন্ত সেতুর ১৮টি পায়ারে ১৬টি গার্ডার স্থাপনের কাজ হয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে ১৭ নাম্বার গার্ডারটি পায়ারে স্থাপনের জন্য স্থানান্তর যন্ত্র গ্রেন্টির মাধ্যমে উপরে তোলার সময় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের গার্ডারটি নিচে পরে ভেঙে যায়। এ ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাভানা কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রবীর বিশ্বাস জানান, গ্রেন্টি ব্রেক ফেল করার কারণেই গার্ডারটি নিচে পড়ে ভেঙে যায়। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেতু নির্মাণ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, এ পর্যন্ত ১৬টি গার্ডার স্থাপন করা হয়েছে। কোন সমস্যা হয়নি। এটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই হয়েছে।