কারণ গবেষকরা দেখেছেন, যারা একা থাকেন তারা অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভরশীল। আর এক্ষেত্রে পুরুষের খাদ্যাভ্যাস নারীদের তুলনায় বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একা থাকেন তাদের খাদ্যাভ্যাস অস্বাস্থ্যকর হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে আছে রান্না করতে না জানা, রান্না শেখার আগ্রহ না থাকা, কেনাকাটা করার সঙ্গী না থাকা, অতিরিক্ত খাওয়া খরচ ইত্যাদি।
গবেষকদের মধ্যে একজন, অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অবস্থিত কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ক্যাথরিন হানা বলেন, “একা বসবাসকারীদের খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা কম থাকে। ফল, সবজি এবং মাছ ইত্যাদি মৌলিক খাবারগুলোও কম খান তারা।”
হানা আরও বলেন, “গবেষণাটি ইঙ্গিত করে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পথে একটি অন্তরায় হতে পারে একা থাকা। খাবার ও রান্না করার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকার সঙ্গে জড়িত এই অন্তরায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একা রান্না করা বা খাওয়ার মধ্যে আনন্দ নেই। যার কারণে মানুষ সাধারণ এবং তৈরি খাবারের প্রতি ঝুঁকে পড়েন, যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ মেলে না।”
একা থাকা এবং খাবার ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মধ্যকার সম্পর্ক খুঁজে বের করতে ৪১টি গবেষণা পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
হানা বলেন, “একা বসবাসকারীদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং সামাজিক মর্যাদার মানুষ।”
তিনি আরও বলেন, “একজন তালাকপ্রাপ্ত নারী বা পুরুষ, যিনি হয়ত খাবারের জন্য সঙ্গীর উপর নির্ভরশীল ছিলেন, তার হয়ত স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করার পর্যাপ্ত কৌশল জানা থাকে না।”
“আর্থিক বিষয়গুলোও ফল, সবজি, মাছ ইত্যাদি খাবার কম পরিমাণে খাওয়ার কারণ হতে পারে। যা নিয়মিত কেনা এবং খাওয়া উচিত।”
“একা থাকার মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবগুলোও খাদ্যাভ্যাসের উপর প্রভাব ফেলে”— বলেন হানা।
নিউট্রিশন রিভিউস নামক জার্নালে এই গবেষনা প্রকাশিত হয়।