সিরিয়ায় আইএস’সহ বিরোধী বিদ্রোহী পক্ষের উপর মাসাধিক কাল রুশ বিমান হামলার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। নিজের দেশ সিরিয়া থেকে সন্ত্রাসবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে দর্পের সাথে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সিরিয়ার জনগণকে সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে মুক্ত করার স্বার্থে প্রয়োজনে তিনি একাকী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলেও জানান। সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে ভিয়েনায় একদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন বাশার আসাদ। ভিয়েনা সম্মেলনে কূটনৈতিক উপায়ে সিরিয়া সংকট নিরসনের নয়া প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কিছু দেশ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবিতে অটল রয়েছে। কিন্তু তাদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তারা মনে করে, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো দেশ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না। রাশিয়া বরং প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসদের হাত আরো শক্তিশালী করার পক্ষে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দামেস্কর ক্ষমতায় প্রেসিডেন্ট বাশারের টিকে থাক না থাকার প্রশ্নে মতভেদ কাটছে না রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। উল্লেখ্য সউদি আরবও বাশারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।লেবাননের আদ-দিয়ার বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, আমি প্রয়োজনে বন্দুক হাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ব এবং শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমার দেশের অখ-তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। কিন্তু উগ্র তাকফিরি গোষ্ঠীকে সিরিয়ার ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দেবো না। বাশার আল-আসাদ আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার পর সিরিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ধরণ সম্পর্কে জনগণের মতামত চাওয়া হবে। তিনি সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে দামেস্কের পাশে থাকার জন্য রাশিয়া, ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আইআরআইবি।