
দেশের আদি কাপড় খাদি সর্বসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার মূলমন্ত্র নিয়ে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে চলছে ‘খাদি উত্সব’। দুইব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে শুক্রবার উপস্থিত সকলের মাঝেই ছিল এক আবেগঘন অনুভূতির প্রকাশ। দেশপ্রেমের প্রতীক এই কাপড়কে তাই অভিজাতদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে সর্বসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানালেন উপস্থিত বক্তারা।
IMGo
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ’৬০ এর দশকে আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তারা খাদি কাপড় পড়ে নিজেকে বড় নেতা মনে করতাম। এরপর হঠাত্ এই কাপড় উথাও হয়ে গেল। এক সময় যখন ফিরে এলো তখন তা শুধু ধনীদের শরীরেই জড়ালো।
দিনটিকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করেছে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির অতি পরিচিত মুখ এই সময়ের প্রতিভাবান ও প্রথতিজশা বেশ কয়েকজন ফ্যাশন ডিজাইনার। এছাড়াও ভারতীয় ছয়জন ফ্যাশন ডিজাইনারও ছিলেন। সন্ধ্যায় রেডিসন ব্লু হোটেলের মিলেনায়তনে তখন উপচে পড়া ভিড়। দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে ডিসপ্লে করা খাদি পোশাক দেখছিলো তখন। অনেক বিদেশিও ছিল তাদের মধ্যে। ভিক্টোরিয়া নামের নরওয়ের নারী তার বন্ধুকে নিয়ে খাদি কিনলেন। তিনি জানালেন নরওয়ের অ্যাম্বাসেডারের আমন্ত্রণে তিনি এখানে এসেছেন। এই ধরনের কাপড়ের সঙ্গে তার পরিচয় এই প্রথম। মিলেনায়তনের এক পাশে চড়কা বসানো হয়েছে। সেখানে কয়েকজন নারী চড়কা থেকে কাপড় তৈরী করছে। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো নাস্তা পর্ব। সবাই সেখানে ভিড় করে। যে যার মতো নাস্তা কফি খেয়ে লাইন ধরে ঢুকে পড়ে ফ্যাশন গ্যালারিতে। সেখানে সিট নম্বর দেখে দেখে যে যার আসন দখল করে নেন। খুব তাড়াতাড়িই শুরু হয়ে যায় অনুষ্ঠান।
সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, অর্থনীতিবীদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও বাংলাদেশ ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিলের সভাপতি মাহিন খান তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।