
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ ৫টি মোবাইল সিম রাখা যাবে। অবৈধ সিমের মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধে এমন বিধি নিষেধ আসছে। আঙুলের ছাপ মিলিয়ে সিম নিবন্ধন শুরু হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। এর আগেই ১৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তারানা হালিম জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে আলোচনা করেছি। ১৪ তারিখে (ডিসেম্বর) আমরা বিষয়টি চূড়ান্ত করবো। সূত্র জানিয়েছে, বিটিআরসি সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যাতে এনআইডি’র বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে’।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। গত অক্টোবরে এক সংবাদ সম্মেলনে তারানা হালিম জানিয়েছিলেন, যাচাই প্রক্রিয়া শুরুর পর প্রথম ১ কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। এমনকি একটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম কেনার তথ্যও পাওয়া গেছে বলে তিনি তখন জানিয়েছিলেন।
এসব অবৈধ সিম নিবন্ধন রোধে সিম সংখ্যার সীমা বেঁধে দিতে বিটিআরসিকে একটি চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের সর্বোচ্চ সাতটি এবং সব মিলিয়ে ২৪টির বেশি সিম রাখার মতো নিয়ম করা যায় কিনা সে বিষয়ে বিটিআরসির পরামর্শ চাওয়া হয়।
বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিটিআরসি জানায়, এক গ্রাহক সর্বোচ্চ ২০টি সিম এবং এক সঙ্গে একই অপারেটরের সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখতে পারবেন এমন বিধি করা যেতে পারে। বিটিআরসির প্রস্তাবটিই চূড়ান্ত হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘আমরা চূড়ান্ত করছি, একজন গ্রাহক এক অপারেটরের সর্বোচ্চ ৫টি সিম রাখতে পারবে। বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসি’র সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি। আঙুলের ছাপ মিলিয়ে ১৬ ডিসেম্বর থেকে সিম নিবন্ধন শুরু হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি'র) বিপরীতে সর্বোচ্চ ২০টি মোবাইল সিম রাখার সীমা বেধে দেয়ার প্রস্তাব করেছে বিটিআরসি। এছাড়া একটি এনআইডির বিপরীতে এক অপারেটরের ৫টির বেশি মোবাইল সিম রাখা যাবে না। অবৈধ সিমের মাধ্যমে সন্ত্রাস বন্ধে বিটিআরসি এ প্রস্তাব করেছে’।
বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য মতে, দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি। সোমবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি সিম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে প্রথম ১ কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধিত সিম পাওয়া যায় মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি। এমনকি একটি ‘ভুয়া’ জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম কেনার তথ্যও পাওয়া যায়। বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।