প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং দুই দেশ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অভিন্ন মূল্যবোধ ধারণ করে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হওয়ায় লন্ডনের সঙ্গে সম্পর্ককে ঢাকা অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ বিদায়ী হাইকমিশনার রবার্ট উইলিংটন গিবসনের সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্রিটিশ জনগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স পলিসি’র কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। সরকারের বিভিন্ন জনমুখী কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতের আরো বিকাশের জন্য তার প্রশাসন সমস্ত সুযোগ-সুবিধা উন্মুক্ত করেছে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ৮ হাজার পোস্ট অফিসকে ই-কেন্দ্রে পরিণত করে আইসিটি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বাংলাদেশে তার দায়িত্বকালে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।