
বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সম্পন্নকারী নার্সদের নবম গ্রেডের পদমর্যাদার নার্সিং অফিসার হিসেবে এবং সরকারি অন্যান্য শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিনা)। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কোর্স সম্পন্ন করেছেন। অনেকে প্রাথমিকভাবে সাতটি সরকারি নার্সিং কলেজ ও বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজ থেকে কোর্স সম্পন্ন করেছেন। কোর্স শেষ করে অনেকে রেজিস্টার নার্স হয়েছেন। কিন্তু এসব নার্সদের কেউ সরকারি চাকরির বিষয়ে অবগত নন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মানসম্মত সেবার জন্য হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ডে নার্স ও রোগীর অনুপাত হওয়া উচিত ১:৪। অর্থাত ৪ জন রোগীর জন্য একজন নার্স থাকতে হবে। আর ক্রিটিক্যাল বিভাগের (আইসিইউ, সিসিইউ) ক্ষেত্রে নার্স ও রোগীর অনুপাত সমান হওয়া উচিত। অর্থাত একজন রোগীর জন্য একজন নার্স থাকতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। প্রতিটি হাসপাতালেই নার্সিং কর্মকর্তার ব্যাপক অভাব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী একজন ডাক্তারের বিপরীতে তিনজন নার্স থাকা উচিত। অথচ বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালে দু’জন ডাক্তারের বিপরীতে একজন নার্সও নেই। এ পরিস্থিতিতে প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটে পর্যাপ্ত পদ সৃষ্টি করে দ্রুত নার্সিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ দাবি মানা না হলে ২০ ডিসেম্বরের পর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কঠোর কর্মসূচির মধ্যে আমরণ অনশন ও দেশব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি থাকবে বলে জানায় তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টার্ন নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাছিমুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহফাত আরা ও সহকারী ট্রেজারার মমতা বেগম।
