সেবা ডেস্ক: খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞ সুরসম্রাট শচীন দেব বর্মণের (এসডি বর্মণ) বাড়িটি ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’ হিসেবে সংরক্ষণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহানগরীর চর্থা এলাকার ওই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এবার শচীন দেবের স্মৃতিচিহ্ন পুরনো ওই বাড়িটি মূল অবয়বে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সুষ্ঠুভাবে সংস্কার ও সংরক্ষণ কাজের জন্য ৭ সদস্যের কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বাড়িকে ঘিরে সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’, ‘সাংস্কৃতিক মঞ্চ’, ‘শচীন জাদুঘর’ ও পুকুরে ‘ভাসমান মঞ্চ’ নির্মাণ করা হবে। গত বছর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দীর্ঘ ৯০ বছর পর এ বাড়িতে আবারো শুরু হয় গান ও নাচের আসর। ইতিমধ্যে এ বাড়ির সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ বাড়ির ৭৩ শতক জায়গায় একটি ‘সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স’ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে। গত বছরের ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বাড়িটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে সুষ্ঠুভাবে সংস্কার-সংরক্ষণ কাজের তদারকির জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৯ মার্চ কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহবায়ক ও একজন সহকারী কমিশনারকে সদস্যসচিব করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অপর ৫ সদস্য হলেন- এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রধান স্থপতি মো. আসিফুর রহমান ভূঁইয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রধান আহমেদ শিবলী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমীন ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সহকারী প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকৌশলী জাকির হুসেন চৌধুরী। তারা গত সোমবার বাড়িটি পরিদর্শন করেন। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমীন জানান, এ বাড়িটি সংস্কারে প্রথমত ডকুমেন্টেশন খুবই জরুরি।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।