সেবা ডেস্ক: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শুধুই অনলাইনে জমা নেওয়া হবে। চলতি এপ্রিল থেকে আর কোনো হার্ডকপি জমা দিতে হবে না আবেদনকারীদের। হার্ডকপি প্রতিষ্ঠানে জমা থাকবে, তবে বিশেষ প্রয়োজনে তা সরবরাহ করবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে উপ-পরিচালক পর্যন্ত কেউ আবেদনকারীদের কাছ থেকে হার্ডকপি সংগ্রহ করবেন না। দুর্নীতিমুক্ত করার অভিপ্রায়ে সরকার এমপিওভুক্তি বিকেন্দ্রীকরণ ও অনলাইন পদ্ধতি চালু করলেও আবেদনের সঙ্গে হার্ডকপি জমা দেওয়ার বিধান চালু করলে তা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার আবেদনকারী। উপজেলা, জেলা ও আঞ্চলিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হার্ডকপি নিয়ে বাণিজ্যে মেতে ওঠে। প্রতিদিন শত শত ইমেইল ও টেলিফোন আসে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে।
অবশেষে গত ২৩ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে হার্ডকপি জমা নেওয়া হবে না । অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন ওই কমিটির সভাপতি।ওই সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কমকতা, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকগণ এবং অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, সকল কাগজপত্রের হার্ডপি জমা দেওয়া ও তা হারিয়ে যাওয়াসহ নানা ভোগান্তি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। কমিটির সকল সদস্য ওই প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, প্রতিবেদনগুলোর প্রতিটি শব্দই সত্য, মাঠ পর্যায়ের ভোগান্তির প্রকৃত চিত্র উঠে এসেছে। তারা সভাকে জানান, যদি বিশেষ কোনো প্রয়োজন হয় তবেই ক্ষেত্রবিশেষে শুধু হার্ডকপি জমা চাওয়া হতে পারে। সব আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।