স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ধানমণ্ডির বাসভবন ঘেরাও আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক নার্সের পুলিশের হামলায় গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল এবং জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগের দাবিতে বুধবার রাতে নার্সদের ওই কর্মসূচীতে হামলা চালায় পুলিশ, এতে শতধিক নার্স আহত হন।
বাংলাদেশ বেসিক গ্র্যাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সভাপতি রাজীব কুমার বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের হামলায় সালামা আক্তার নামের একজন বেকার নার্সের গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। তাকে তাৎক্ষণিক সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজীব কুমার নিজেও এসময় আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের দাবি বাস্তবায়নে একাধিবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেননি। তাই আমরা মন্ত্রীর বাসা ঘেরাও করি। সন্ধ্যা ৭টায় আমরা মন্ত্রীর বাসার সামনে অবস্থান নেই। এ সময় রাত ৮টার মধ্যে পুলিশ এই স্থান ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আমরা অবস্থান থেকে সরতে না চাইলে পুলিশ আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় দুজন নার্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন।
গর্ভপাতের বিষয়ে ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম হোসেন বলেন, এ ধরনের তথ্য আমাদের জানা নেই।
তিনি বলেন, নার্সদের মন্ত্রীর বাসার সামনে থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নার্সদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর আগে বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে নার্সরা স্বাস্থমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়ক অতিক্রম করার সময় আন্দোলনরত নার্সদের বাঁধা দেয় পুলিশ। এ সময় লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে পাঁচজন নার্স আহত হন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবিতে ২৮ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করছেন নার্সরা। আগামী শুক্রবার বিপিএসসির মাধ্যমে নার্স নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, মূলত এ পরীক্ষা বাতিল করাই তাদের আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি।
এসব দাবিতে গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি দীন মো. নূরুল হক দুদিনের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন, কিন্তু এখনো তারা প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাননি।