সিটিসেল বিষয়ে আদালতের আদেশ বৃহস্পতিবার

Unknown
সেবা ডেস্ক:  তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দিতে সিটিসেলের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ দিন ধার্য করে।
 
সিটিসেলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
 
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল তরঙ্গ বরাদ্দ খুলে দেয়ার জন্য আপিল বিভাগে একটি আবেদন দাখিল করেন। এর আগে বকেয়া টাকা পরিশোধ করা হয়নি এই অভিযোগে সিটিসেলের কার্যক্রম (স্প্রেকট্রাম বা তরঙ্গ) স্থগিত করে দেয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
 
বিটিআরসি দাবি করেছে, সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। যদিও এই পাওনা নিয়ে পরস্পর বিরোধী দাবি রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে আপিল বিভাগ ছয় সপ্তাহের মধ্যে পাওনা টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ এবং অবশিষ্ট টাকা দুই মাসের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য সিটিসেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলো। সিটিসেল তাদের হিসাবমত বকেয়া টাকার মধ্যে ১৩০ কোটি বিটিআরসিকে এবং ১৪ কোটি টাকা এনবিআরের খাতে জমা করে। কিন্তু বিটিআরসি দাবি করে প্রথম কিস্তির টাকার অঙ্ক ৩১৮ কোটি টাকা। টাকার অঙ্ক নিয়ে দুই পক্ষের এই মতবিরোধের মধ্যে বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্ধ স্থগিত করে দেয়। এ পরিস্থিতিতে তরঙ্গ বরাদ্ধ ফিরে পেতে সিটিসেল আপিল বিভাগে এই আবেদন করে। এ প্রসঙ্গে সিটিসেলের আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আদালত যে কিস্তি নির্ধারন করে দেন তা দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে টাকার অঙ্ক নিদ্দিষ্ট করার নির্দেশনা ছিলো। বিটিআরসি সিটিসেলকে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্ধ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তারা বরাদ্ধ দেয় ৮ দশমিক ৮২ মেগাহার্টজ। এই হিসাবে বিটিআরসির কিস্তি পাওনা হবে ১৪৪ কোটি টাকা। সে টাকা সিটিসেল জমা দিলেও বিটিআরসি তরঙ্গ বরাদ্ধ স্থগিত করে দেয়। বিষয়টি আমরা আপিল বিভাগের নজরে আনব।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top