প্যাকেজ-ভ্যাট কমানোর দাবি গ্রহণযোগ্য নয়: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

Unknown
সেবা ডেস্ক:  প্যাকেজ-ভ্যাট কমানোর দাবি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে রিটার্ন জমার পরিমাণ বাড়লে ভ্যাট হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ট্যাক্স গাইড ২০১৬-১৭’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে বর্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতি। নভেম্বরের মধ্যে বর্ধিত প্যাকেজ-ভ্যাট বাতিল করার ঘোষণা না আসলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আন্দোলনের হুককিও দিয়েছেন তারা। ২ নভেম্বর ব্যবসায়িক ঐক্য ফোরামের আহ্বানে একদিন দোকান বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে আজ অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাট দিতেই হবে। তারা দোকান বন্ধ রেখে যে আন্দোলন করছে, তার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তাদের দাবি হচ্ছে, ভ্যাট দেব না। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভ্যাট আছে ও ভ্যাট থাকবে।
এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ৭৭ হাজার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১১ হাজার ভ্যাট দেয়। যদি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশও ভ্যাট পরিশোধ করে, তবে ভ্যাট কমানো যাবে কি না, বিবেচনা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, কাস্টম কমিশনারেট পশ্চিম অফিসের অধীনে ৭৭ হাজার ৫৮৭টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান থাকলেও ভ্যাট প্রতিবেদন জমা দেয় মাত্র ১১ হাজার। বাকি ৬৮ হাজার প্রতিষ্ঠানই ভ্যাট প্রতিবেদন জমা দেয় না। ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি আতিক-ই-রাব্বানী নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ১৫ শতাংশ হারের ভ্যাট, এর পরিমাণ আর বাড়বে না। তবে অধিক সংখ্যক হারে ভ্যাট আদায় হলে সেক্ষেত্রে ভ্যাটের পরিমাণ কমতে পারে।
প্যাকেজ-ভ্যাটের বিষয়ে দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হয়েছিলো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্যাকেজ-ভ্যাট দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সর্বনিম্ন প্যাকেজ-ভ্যাট ছিল ১৪ হাজার টাকা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। একইভাবে অন্যান্য সিটি করপোরেশনে ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা, জেলা শহরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। 

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, সরকার এ দাবী মেনে না নিলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ রাখা হবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা তালা দিয়ে ঘরে বসে থাকবেন।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top