সুপারী চাষীদের মুখে হাসি: লক্ষ্মীপুরে উৎপাদন হচ্ছে ৩’শ ২৫ কোটি টাকার সুপারী

Unknown
নজির আহম্মদ ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলায় নারকেল, সুপারীর মধ্যে অন্যতম  হচ্ছে সুপারীর। গত বছর চেয়ে এবারের সুপারীর ফলন সবচেয়ে ভাল। এই কারণে সুপারী চাষীদের মুখে হাসি।  কৃষি জমির পাশে কিংবা বাড়ির আঙ্গিনায় সুপারী গাছ রোপন করে প্রতি বছর উৎপাদন হচ্ছে ৩’শ ২৫ কোটি টাকার সুপারী। অর্থকারী এ ফসলকে ঘিরে এ অঞ্চলে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা। উৎপাদিত এ ফসলের বাজার দর ভালো থাকায় সুপারী চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এখানকার মানুষের। সরকারি বেসরকারি উদ্যোক্তরা এগিয়ে আসলে এখানকার উৎপাদিত সুপারী দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস'ান সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স'ানীয়রা।

জেলা কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তর সুত্র জানা যায়, জেলায় প্রতি বছর ৬ হাজার ২৬৫ হেক্টর ভূমিতে সুপারী বাগান করা হয়। যার বাজার মুল্য ৩’শ ২৫ কোটি টাকা। এবার প্রতি (১২৮০ পিছ) এক ক্রাউন সুপারী প্রথমদিকে ১৫-১৬ ‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জেলায় সব চাইতে বেশী সুপারী উৎপাদন হয় রায়পুর ও সদর উপজেলায়। মৌসুমে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে সুপারী বিক্রির বাজার বসরেও সদর উপজেলার দালাল বাজার বসে সুপারীর সবচেয়ে বড় হাট। একানকার উৎপাদিত সুপারী পানের সাথে খেতে বেশ মজাদার হওয়ায় জেলাবাসীর চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশেও যাচ্ছে এ অঞ্চলের সুপারী।

সুপারী চাষীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের বৃষ্টির পানিতে সুপারি গাছে ফুল আসে। এরপর এ ফুল থেকে সৃষ্ট সুপারী। আর পুরোপুরি পাকা হয়ে হলুদ রং ধারন করে কার্তিক-অগ্রহায়ন মাসে। মূলত কার্তিক-অগ্রহায়ন মাসই সুপারীর ভরা মৌসুম। আর তখনই সুপারি বিক্রি শুরু করেন সুপারী চাষীরা। এখন এখানকার প্রতিটি বাগানে সুপারীর হলুদ রংএর সমরাহ, মাইলের পর মাইল পাকা সুপারীর হলুদ রং এ চেয়ে গেছে। এতে হাঁসি ফুটেছে সুপারীর বাগান মালিকদের মুখে। তবে গত বছরে তুলনায় এবার সুপারীর বাজার দাম কিছুটা কম হওয়া হতাশ তারা। গেলে বছর প্রতি ক্রাউন সুপারী বিক্রি হয়েছে ১৮-১৯‘শ টাকায় আর এবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৫-১৬‘শ টাকায়।

চাষীরা জানান, সুপারি বাগানের পরিচর্যা, রক্ষনা-বেক্ষনে তারা কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ ও সহযোগিতা কিছুই পান না। এতে করে গাছগুলো দুর্বল হয়ে পড়ায় আশানুরূপ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।

সুপারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর এ জেলায় লক্ষাধিক মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয়। মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে সুপারি ক্রয় করতে ভীড় জমান দেশের বিভিন্ন স'ান থেকে আসা সুপারি ব্যবসায়ীরা ।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সুষ্ঠ রক্ষণা-বেক্ষণ, বেশি বেশি সুপারি গাছ রোপন, কৃষক ও সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের লোকজনের আন্তরিক প্রচেষ্টাই হতে পারে লক্ষ্মীপুরে সুপারির ঐতিহ্যকে ধরে রাখা এবং পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত সুপারী।  

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সমপ্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান, জেলায় প্রতিবছর ৩’শ ২৫ কোটি টাকার সুপারী উৎপাদিত হয়। সঠিক সময়ে সুপারী চাষীরা বাগান পরিচর্যার কারনে এ জেলায় সুপারীর বাম্পার ফলন হয়ে থাকে।


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top