
সোমবার সন্ধ্যায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ইতালি প্রবাসী তারেকের স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মুক্তা, তার মেয়ে মাহি (৮) ও ছেলে (৫)।
দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মুক্তা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রতিবেশীরা জানান, প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিন মুক্তার টেলিফোনে ঝগড়া হতো। বিকাল ৫টার দিকে স্বামীর সঙ্গে মুক্তার টেলিফোনে ঝগড়া হয়।
মুক্তার ভাই আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুলাভাই টেলিফোনে আমাকে জানায় মুক্তার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছে। তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে যেন আমি মুক্তার সঙ্গে দেখা করি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বোনের বাসায় গিয়ে দেখি ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ। পরে জানালা খুলে মুক্তা ও তার দুই সন্তানের নিস্তেজ দেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে তাদের লাশ উদ্ধার করে।’
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদ খান বলেন, ‘এটি আত্মহত্যা, না কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।’