সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জে এইচএসসির কেন্দ্র নিয়ে দুই প্রতিষ্ঠানে রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও বিড়্গোভ করেছে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ।
জানা গেছে, দিন দিন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে কেন্দ্র ছাড়াও সম্প্রতি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নিকটবর্তী মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজে আরো একটি এইচএসসি পরীড়্গার কেন্দ্র অনুমোদন দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ।
অনুমোদিত এই কেন্দ্রে বকশীগঞ্জ খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও ৫টি প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
কিন' খাতেমুন মঈন মহিলা কলেজের পরীক্ষার্থীরা অনুমোদিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
তারা চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা না দিয়ে বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহহ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক।
এ নিয়ে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজ এবং খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের মধ্যে রশি টানাটানি চলে আসছে।
এরই জের ধরে বুধবার বেলা ১১ টায় চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুমান তালুকদারের নেতৃত্বে কিছু শিক্ষার্থী ।
মিছিলে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অশ্লীল স্লোগান ও অপপ্রচার করা হয়।
এই অপপ্রচারের প্রতিবাদে দুপুর সাড়ে ১২ টায় চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের শিড়্গক-শিড়্গার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী পাল্টা মানববন্ধন করেন।
বকশীগঞ্জ-জামালপুর সড়কের পাখিমারা এলাকায় ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানবন্ধনে বক্তৃতা করেন শেফালী মফিজ মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, প্রভাষক মারুফ হোসেন,
শিক্ষক বাকি বিলস্নাহ , গোলাম রাব্বানী বানী, শিক্ষক মঞ্জুরম্নল ইসলাম , শিক্ষক মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এন্ড কলেজে আরেকটি কেন্দ্র অনুমোদন দেন শিক্ষাবোর্ড।
কিন্তু কিছু উচ্ছশৃঙ্খল সুবিধাবাদী লোক এই কেন্দ্র বাতিলের অহেতুক দাবি করছে।