সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সফরের জন্য জাতিসংঘের নতুন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে আমন্ত্রণ জানাবে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বুধবার নিউইয়র্কে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন মহাসচিব বাংলাদেশ সম্পর্কে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওয়াকিবহাল আছেন। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী-বিষয়ক প্রধান হিসেবে এর আগে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাঁকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন কাজ করবে।
মত বিনিময় অনুষ্ঠানে স্থায়ী মিশনের নানান সাফল্য তুলে ধরা হয়। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাতিসংঘে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে। প্রত্যেকেই কমবেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে। বর্তমানে যে কয়টি মিশন রয়েছে সেখানে সদস্য সংখ্যায় পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, কিছু কিছু মিশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অর্থাত্ সেখানে সফলভাবে শান্তি এসেছে। যেমন আইভরিকোস্টে বাংলাদেশের বড় উপস্থিতি ছিল। যেহেতু সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সে কারণে আইভরিকোস্টে মিশন বন্ধ হয়ে গেছে। তাতে করে সংখ্যা কমে গেছে বাংলাদেশের। এজন্য হয়তো বাংলাদেশ এক নম্বর থেকে দুই নম্বরে অবস্থানে এসেছে। এই অবস্থান সারাক্ষণই বাড়ছে-কমছে। তিনি জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে দক্ষিণ সুদানে ৮৫০ জনের একটি ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন এবং ২৬০ জনের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোমপানি পাঠাবে বাংলাদেশ। তখন বাংলাদেশের অবস্থান তিন বা দুই অথবা আরো উপরে চলে যাবে।
মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরে এলাহী মিনা জানান, সাউথ সুদানে ৮৫০ জনের একটি ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন, ২৬০ জনের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোমপানি এবং মালিতে ১৮০ জনের পুলিশ ইউনিট পাঠানো হলে বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে যাবে। নূরে এলাহী মিনার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থায়ী মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর যোগদান, শান্তির সংস্কৃতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল, নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশের ভূমিকা, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, অটিজম ও প্রতিবন্ধী ইস্যু, জাতিসংঘের বিভিন্ন নির্বাচন প্রভৃতি।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান। তিনিও সরকারের বিভিন্ন সাফল্য বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে স্থায়ী মিশনের কাউন্সেলর ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী, এটিএম রকিবুল হক ও সঞ্চিতা হক, ফার্স্ট সেক্রেটারি তৌফিক-উর রহমানসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।