
এদিকে যে কোর্টে প্রাকটিস করতেন চন্দন সরকার সে কোর্টেই তার খুনের রায় দিয়েছে আদালত। এতে আরো বেশি আবেগতাড়িত হয়েছে তার পরিবার। এই ঘটনার পর প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকারের বড় মেয়ে ডা. সেঁজুতি সরকারের স্বামী ডা. বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে মামলা করেন।
চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় জানিয়েছিলেন, তার শ্বশুর চন্দন সরকার একজন সাহিত্য প্রেমিক। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার জন্য তিনি ঝালকুড়ির বৃষ্টিধারা এলাকায় ছায়াঘেরা পরিবেশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। তার কোন শত্রু নেই। সাদা মনের মানুষ। কারো সঙ্গে উচ্চস্বরেও কথা বলতেন না।
তিনি জানান, ঘটনার দিন কোর্ট থেকে বের হন দেড়টার দিকে। আগের প্রাইভেটকার ছিল অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের এবং পেছনে ছিল নজরুল ইসলামের গাড়ি। চন্দন সরকারের গাড়ি বের না হলে নজরুলের গাড়ি যেতে পারছিল না। তাই তিনি তাড়াহুড়া করে কোর্ট থেকে ভাতিজা অ্যাডভোকেট পান্নার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠেন। এ অবস্থায় আগে চন্দন সরকারের গাড়ি এবং পেছনে নজরুলের গাড়ি লিংক রোড দিয়ে বাসার উদ্দেশে যাত্রা করে। স্টেডিয়ামের কাছে পৌঁছালে অপহরণকারীরা গাড়ি থামায়। ওই সময় অপহরণকারীদের মধ্যে কাউকে চিনে ফেলেন প্রবীণ আইনজীবী চন্দন সরকার। এ কারণে খুনিরা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালককে তুলে নিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বজনদের দাবি। মামলার তদন্তেও নিহত আইনজীবীর স্বজনদের দাবির সত্যতা মিলেছে।