সেবা ডেস্ক: পুঁজিবাজারে ব্যাপক উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে অনেকটা একাটানা বাড়ছে পুঁজিবাজারের সূচক। সঙ্গে লেনদেনও উঠে এসেছে হাজার কোটি টাকার উপরে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার মন্দার মধ্য দিয়ে গেছে। তাছাড়া বাজারে অনেক কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। তাই বর্তমানে সূচক বাড়াকে অস্বাভাবিকভাবে দেখার কিছু নেই। বরং সূচক আরও বাড়লেও সমস্যা নেই। তবে বাজারে সূচক বাড়ায় কিছু দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এ কোম্পানিগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে শেয়ারের দাম কমলেও ভয়ের কিছু থাকবে না। আর এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম অনেক বেশি কমেও যায় না।
গতকাল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১০৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ১০৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিলের পর এই প্রথম সিএসইর সূচক ১০ হাজার পয়েন্ট ছাড়াল। অর্থাত্ প্রায় সাড়ে চার বছর পর সিএসইর সূচক ১০ হাজার পয়েন্ট ছাড়াল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যে দেখা গেছে, টানা ৫ কার্যদিবস ধরে উত্থানে রয়েছে শেয়ারবাজার। এ সময় ডিএসইর মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৬৪ পয়েন্ট বেড়েছে। গতকাল ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট। এতে ডিএসইএক্স ৫ হাজার ৪২২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যার পরিমাণ আগের দিন ছিল ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ২৪২ কোটি ২৪ লাখ টাকা বা ১৭ শতাংশ। ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২১৩টি বা ৬৪ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো। গতকালও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গতকাল টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৯৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৪৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা এ্যাপোলো ইস্পাতের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে এরপর রয়েছে- বারাকা পাওয়ার, জিপিএইচ ইস্পাত, একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস ও একটিভ ফাইন কেমিক্যাল।