
২০১৫ সালে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি ঠিক যেভাবে মৃত্যু হওয়ার কথা বলেছিলেন, অনেকটা সেভাবেই মারা যান ওম পুরী। ১৯৫০
সালে হরিয়ানার আম্বালায় এক হিন্দু-পাঞ্জাবী পরিবারে জন্ম হয় মি. পুরীর।
তাঁর বাবা ভারতীয় রেল আর তার আগে সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।
হিন্দি
ছাড়াও অনেক ভারতীয় ভাষা এবং ব্রিটিশ ও হলিউডি ছবির সঙ্গে পাকিস্তানের
ছবিতেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে চার দশক ধরে অভিনয় করেছেন পুরী। দিল্লির
ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা আর তার পরে পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন
ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করেন তিনি। দিল্লির
এনএসডি-তে আরেক বিখ্যাত অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ ছিলেন তার সহপাঠী। সেই
সময়ে খুব কম অভিনেতারই নাট্য-অভিনয়ের প্রথাগত শিক্ষা বা ডিগ্রি ছিল।
'ডিস্কো
ড্যান্সার' থেকে শুরু করে 'চাচী ৪২০', 'চায়না গেট', 'হেরাফেরি', 'মালামাল
উইকলি', ' রং দে বাসান্তি', 'দাবাং'- এর মতো জনপ্রিয় ছবিতেও তাঁকে দেখা
গেছে নানা ধরণের চরিত্রে।
নিজের
মৃত্যু সম্পর্কে কথা বলেছিলেন ২০১৫ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে।
সে বছর মার্চ মাসে তিনি বলেছিলেন ঘুমের মধ্যেই হয়তো মৃত্যু আসবে তার।
তিনি
বলেছিলেন, ‘মৃত্যুটা তো বুঝতেই পারে না কেউ। ঘুমের মধ্যেই হয়তো চলে যাব।
আপনারা হয়তো জানতে পারবেন সকাল সাতটা বাইশ মিনিটে ওম পুরী মারা গেছেন।’
ঘটনাচক্রে
তার মৃত্যু অনেকটা সেভাবেই হয়েছে। তার কথায়, ‘মৃত্যুর ভয় নেই। অসুস্থ
হয়ে পড়াটা আরও ভয়ের। যখন দেখি মানুষ অসুস্থ হয়ে গিয়ে চলাফেরা করতে
পারে না, অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে - আমার সেটাতেই বড় ভয়।’
তাকে
সত্যজিৎ রায়, গোবিন্দ নিহালনী, শ্যাম বেনেগাল, মৃণাল সেন, গৌতম ঘোষরা
যেমন নিজের ছবির জন্য ডেকেছেন, তেমনই ডেকে নিয়েছেন 'গান্ধী' ছবির জন্য
রিচার্ড অ্যাটেনবরো বা 'সিটি অফ জয়ে'র পরিচালক রোল্যান্ড জফ। রাজকুমার
সন্তোষী, কমল হাসান, সুভাষ ঘাই বা প্রিয়দর্শনের মতো জনপ্রিয় হিন্দি ছবির
পরিচালকরাও তাকে রেখেছেন নিজেদের হিট ছবিগুলোতে। চলচ্চিত্র জগতে তাঁর
অবদানের জন্য 'পদ্মশ্রী' পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিলেন ওম পুরী। বিবিসি