
শুক্রবার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাধ এলাকায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সঙ্গে
‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারজান নিহত হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে এলাকাবাসী ও
তার স্বজনরা মারজানের পাবনার বাড়িতে ভিড় করেন। এ সময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে
পড়েন। ছেলের কৃতকর্মের দায় নিজেরা না নিলেও মারজানকে যারা বিপথে নিয়ে গেছে
তাদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন মারজানের বাবা-মা। মারজানের
বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘তার ছেলে যে অন্যায় করেছে তার কৃতকর্মের ফল সে
ভোগ করেছে। কিন্তু তার মেধাবী এ সন্তানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। তাকে যারা
জঙ্গি বানিয়েছে তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা সরকার নেয়। ছেলের লাশ ঢাকা থেকে
আনার সামর্থ নেই। সরকার যদি বাড়িতে পৌঁছে দেয় তবে দাফনের জন্য লাশ গ্রহণ
করবো।’
মারজানের মা সালমা খাতুন বলেন, তার ছেলে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।’
প্রসঙ্গত,
পাবনা সদর উপজেলার আফুরিয়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মারজান গত বছরের
জানুয়ারি মাসে সর্বশেষ বাড়িতে আসে। ওই সময় তার স্ত্রী প্রিয়তিকে সঙ্গে নিয়ে
যাবার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। গুলশানে হামলার পর
মারজানের জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খরব জানতে পারে তার পরিবার ও
এলাকাবাসী। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মারজান গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে
লেখাপড়া শেষ করে পাবনা শহরের বাঁশবাজারের আহলে হাদীস কওমী মাদরাসায় ভর্তি
হন। পরে পাবনা আলীয়া মাদরাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাসের পর চট্রগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় জেএমবিতে যোগ দেয়।