
সেবা ডেস্ক: পদোন্নতি নিয়ে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা কেন্দ্র ও ঢাকার বাইরের ৮টি আঞ্চলিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত কয়েক দিন যাবত মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে । সভা, সমিতি, মিটিং যেন তাদের নিত্য কর্মে পরিনত হয়েছে। ফলে দেশের মাদরাসা শিক্ষার দেখভাল করার দায়িত্বে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে ।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্র থেকে জানা যায় গ্রেডেশন তালিকা করার জন্য উপ-পরিদর্শক মো: হোসেনকে আহবায়ক করে একটি গ্রেডেশন প্রণয়ন কমিটি করা হয়। অভিন্ন গ্রেডেশন তালিকা প্রনয়নের নিয়ম থাকলেও উক্ত কমিটি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পছন্দের কর্মকর্তা,কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডেশন তালিকা প্রণয়ন করে, এমন অভিযোগ আঞ্চলিক কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের । অভিন্ন গ্রেডেশন তালিকা চেয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা আপত্তি দাখিল করতে গেলে আঞ্চলিক কার্যালয়ের আবেদনপত্র আর এন্ড, আই শাখা জমা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ডাক যোগে উক্ত আবেদনপত্র গ্রেডেশন প্রণয়ন কমিটির আহবায়ক বরাবর প্রেরণ করে। উক্ত আবেদনপত্র আমলে না নিয়ে গোপনে চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকদের পদোন্নতি দেয়ার জন্য উদ্যোগ নিলে আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা অভিন্ন গ্রেডেশন তালিকা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করে। (writ petition on-5499 fo 2017 তারিখ- ১৮.০৪.২০১৭)
বিচারাধীন বিষয় নিয়ে গত ২৩.০৪.২০১৭ তারিখ বেলা ০৩টা হতে ৫:৩০ মিনিট পর্যন্ত মিটিং করে ঢাকা অঞ্চলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত মাদরাসা প্রধানরা সীমাহীন দূর্ভোগে পড়ে। আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অভিযোগ- কর্তৃপক্ষের মদদে অফিস সময়ে বিচারধিীন বিষয়ে এ ধরনের মিটিং করা হয়েছে।
সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলছেন , আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা একটি অধিকারের জন্য মামলা করেছে সুতরাং মামলার বিরুদ্ধে আমাদের কিছু করার নাই। অফিস শৃংখলা পরপিন্থী এ সব কাজে সাবেক সিবিএ নেতা মোস্তাফিজ ও মিজানের অগ্রনী ভুমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে বোর্ড চেয়ারম্যান কিভাবে বিচারাধীন বিষয়ে মিটিং করার অনুমতি দিলেন । এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে চরম উৎকন্ঠা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেকোন মুহুর্তে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা।