কুড়িগ্রামে মিঠা পানির গলদা চিংড়ি রেনু পোনা মৎস্যচাষীদের বিতরণ :: স্বপ্ন স্বাবলম্বী হওয়ার

G M Fatiul Hafiz Babu



কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ::
কুড়িগ্রামে মিঠাপানির গলদা চিংড়ি চাষের উজ্ঝল সম্ভাবনার লড়্গ্যকে সামনে রেখে মৎস্যচাষীদের স্বাবলম্বী করতে  মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে উৎপাদিত রেনু পোনা বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মৎস কর্মকর্তা জিলস্নুর রহমান, মৎস প্রকল্প রংপুরের সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও মৎস উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কলিমুলস্না প্রমুখ।

সংশিস্নষ্ট সুত্র জানায়, দেশের দড়্গিণাঞ্চল থেকে লোনা পানির চিংড়ি পোনা এনে মিঠা পানিতে সহনীয় করে ডিম থেকে পোনা তৈরী করে ৩৫ দিন পরে কৃষকের মাছে বিতরন করা হয়।

  চলতি বছর পর্যায়ক্রমে সোয়া ৩ লাখ পোনা মৎস্যচাষীদের মাঝে বিতরণ করার লড়্গ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কলিমুলস্না জানান, মৎস খামারের মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে আমরা সফলতা পেয়েছি। তাই গলদা চিংড়ি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

বদ্ধ ও মুক্ত উভয় জলাশয়ে এই গলদা চিংড়ী চাষ করে মৎসচাষীরা লাভবান হবে। এর অংশ হিসেবে প্রথমদফায় ৩৪ হাজার পোনা চাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

মৎসচাষী আব্দুল মামু

ন ও তাহমিদুর রহমান তুহিন জানান, গলদা চিংড়ির চাহিদা ও বাজারমূল্য অনেক বেশি। আমরা মিঠা পানিতে এই মাছ চাষ করতে পারলে কম সময়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারব।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিলস্নুর রহমান জানান, ২০১৭ সালে গলদা চিংড়ির পোনা তৈরীর লড়্গমাত্রা সোয়া ৩ লড়্গ্য ধরা হলেও আমারা ইতিমধ্যে ৫ লড়্গ পোনা উৎপাদন করেছি। কৃষকরা আগ্রহী হলে আরো অধিক পোনা উৎপাদন করা হবে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top