বকশীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকি বাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ, ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও তামাশা!

G M Fatiul Hafiz Babu
সেবা ডেস্ক:

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুত সমিতির ভেলকি বাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এমন কি পবিত্র মাহে রমজানের ইফতার , তারাবি ও সেহরির সময় বিদ্যুত না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রোজাদারদের।

 এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ড়্গোভের সৃষ্টি হয়েছে।


জানা গেছে, বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির আওতায় বকশীগঞ্জ, রাজিবপুর, রৌমারী ও ইসলামপুর উপজেলার একাংশ গ্রাহক রয়েছে ৩৮ হাজার ।

 এই চার উপজেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৩ মেগাওয়াট। এরমধ্যে বকশীগঞ্জ পলস্নীবিদ্যুত সমিতিতে বিদ্যুত দেয়া হয় ৫ মেগাওয়াট ।

 বাকি ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত না কারণেই এই এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড দাবদাহের পাশাপাশি পলস্নী বিদ্যুতের চরম লোডশেডিং দেখা দিয়েছে।

বকশীগঞ্জ পৌর এলাকায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১৬ ঘন্টা বিদ্যুত থাকে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ২০ ঘন্টা বিদ্যুত বিহীন কাটাতে হয় মানুষের।

 বিশেষ করে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সময় ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। আবার ইফতারের ২০ মিনিট পরেই আবার সংযোগ দেয়া হয়।

এছাড়াও তারাবির নামাজ ও সেহরির সময় বিদ্যুত না পেয়ে ড়্গোভ আর হতাশা ব্যক্ত করেন অনেকেই।
ঝড়-তুফান না হলেও পলস্নী বিদ্যুত সমিতির এরকম কর্মকান্ডে বর্তমানে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।


ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস'্য কমপেস্নক্সে ভর্তিকৃত রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কারো কারো অভিযোগ প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে এই সমিতির আওতাধীন এলাকায় বিদ্যুতের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

জানতে চাওয়া হলে বকশীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম মো. আক্তারুজ্জামান জানান, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি বিদ্যুত সরবরাহের জন্য।

 কিন' শেরপুর হয়ে বিদ্যুত আসার কারণে তারা বিদ্যুত আটকে দেয়। একারণে বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকেই যায়। তবে এই এলাকায় একটি জাতীয় গ্রিড নির্মাণ করা হলে বিদ্যুতের সমস্যা থাকবে না বলেও মনত্মব্য করেন ডিজিএম আক্তারম্নজ্জামান

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top