
কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। চরম দূর্ভোগে পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ। ত্রানের জন্য হাহাকর বজরা ইউনিয়ন জুড়ে। গতকাল বুধবার বজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেজাউল করীম আমিন তত্বাবধানে ত্রাণ সহায়তা সর্মসূচী (জিআর’র চাল) ২ ভিত্তিক মোট ৪৫০ বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ড়্গতিগ্রাস্থ দুস্থ পরিবারের মাঝে গড়ে ১০ কেজি চাল করে মোট চার হাজার ৫শত কেজ চাল এসি লেট অফিসার ও রিলিভ অফিসার মইনুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সংবাদিক ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, অত্র উইনয়নের সদস্য/সদস্যা উপস্থিতে বিতরণ করা হয়। যা প্রয়োজনের তুলানায় অপ্রতুল। সরেজমিন বজরা ইউনিনের বন্য পরিস্থিতি দেখা যায় বজরা ইউনিযনের ৭টি মৌজার মধ্যে ৬টি মৌজা পানিতে তলিয়ে গেছে আংশিক ভাবে আরেকটি মৌজা পানিতে ডুবে গেছে। ফলে এসব গ্রামে সবত বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে এবং বন্যার পানি জমে থাকায় ৫-৬দিন ধরে চুলা জ্বালাতে পারছেন না পরিবার গুল ফলে তারা না খেয়ে দিনে কাটাচ্ছে, সংকটে পড়েছে খাদ্য বিশুদ্ধ পানি এছাড়াও গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেণ বন্য কবলিতরা। ৮০ বজরা মৌজার বন্যা কবলিত কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, বাবারে আর পারিনা সরকার থেইকরা কোন সহাস্য আইলে সগায় হুংরি খায়া পড়ে। বন্যার কারনে হাতে কোন কাজ কমোই না থাকার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ১০ কেজি চাল আইনা পোলাপান নিয়ে আইন্দা খাচ্ছি কিন্তু মুই পাইলেও মো পাশের বাড়ি মানুষ পাই নাই তারাও হামার বাড়িত আসি খাবার চায়। এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব্ রেজাউল করীম আমিন বলেন উলিপুর উপজেলার মধ্যে আমার বজরা ইউনিয়ন এমনিতেই দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অন্যান্য ইউনিয়নের চাইতেও বেশি মধ্যবৃত্ত পরিবারের সংখ্যাও কম, এরী মধ্যে বন্যায় দুঃখ কষ্ট অসহায়ত্তো লেগেই গেছে। চারদিকে থেকে প্রতি নিয়ত আসছে সাহায্যে চাওয়ার জন্য। যে পরিমান বরাদ্দর প্রয়োজন সে তুলনায় পাচ্ছি অপ্রতুল । যখন যা পাচ্ছি সরকারের তরফ থেকে তা বিলিযে দিচ্ছি এমনকি আমি আমার ব্যাক্তিগত ভাবে ৩ লড়্গ টাকার শুকনো খাবার স্যালাইন, ঔষুধ, পত্র বিতরণ করেছি। আমি সরকারের কাছে অকুল আবেদন জানাচ্ছি আমরা ইউনিয়ন জুড়ে জিআর’র চাল যদি ৮০-৯০ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয় এবং ঢেউ টিন নগদ অর্থ প্রদান করা হয় তাহলে বন্য মোকাবেলা কিছুটা হলেও করতে পারব। জেলা ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫০মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কুড়িগ্রাম জেলা ভিত্তিক এই বিপুল সংখ্যাক বন্য কবলিত মানুষের জন্য তা অপ্রতুল। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোঃ ফেরদৌস খান জানান, বজরা ইউনিয়ন বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি অবগত পর্যায় ক্রমে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় বারাদ্দ দেয়া হবে।