ভারতের ৭টি অঙ্গ রাজ্যের মুখ সোনাহাট স্থল বন্দর -আমদানি -রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা

G M Fatiul Hafiz Babu


ডা: জিএম ক্যাপন্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ

 কুড়িগ্রাম ভূরম্নঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দর ভারতের ৭টি অঙ্গ রাজ্যের মুখ হওয়ায় আমদানি রপ্তানির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে ভারতীয় সিএনএফ এজেন্ট এ সোসিয়েশন সভাপতি সরকার রাকিবুল হাসান জুয়েল এর সাড়্গাৎকার এসআরও না থাকায় এখনও রপ্তানি  চালু করা যায় নি।


 ১০টি পণ্যের আমদানির অনুমতি থাকলেও শুধু আমদানি ভারতের ৭টি অঙ্গ করা হচ্ছে এই বন্দরের মাধমে পাথর ও কয়লা।

সরেজমিন জানা গেছে, সোনাহাট স্থল বন্দরে পাথর, কয়লা আদা, রসুন, পিঁয়াজ, চাল, গম, ভুট্টা, ডাল ও তাজা ফল মোট ১০টি পন্য আমদানি করার অনুমোতি দেশিয় ভাবে থাকলেও শুধুমাত্র ২টি পন্য আমদানি করা যাচ্ছে। আমদানিকারক পন্য দুটির মধ্যে পাথর সারা বছর আসলেও কয়লা আসছে সময় অনুযায়ী।

কাস্টম জানায়, সোনাহাট স্থল বন্দরে মোট ৫২জন সিএনএফ এজেন্ট রয়েছে। কিন্তু আমদানির সাথে যুক্ত মূলত ১০-১২ জন এজেন্ট। ভারতীয়  পাথর ও কয়লা আমাদিন করে সরকারি ভাবে এ যাবৎ প্রায় ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করা হয়েছে।

 সকল এজেন্ট চালু হলে রাজস্ব আয় বাড়বে অনেক বেশি। এদিকে  সোনাহাট স্থল বন্দরের জন্য ১৪ একর ৬৮ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করে দেশের ১৮তম বন্দর হিসেবে ৪৩ কোটি ২২ লড়্গ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামোর কাজ শুরম্ন করা হয়েছে।


 বন্দরের সাথে যোগযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সোনাহাট রেলসেতুর ৩৩৪ মিটার ভাটিতে ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দুধ কুমর নদীর উপর সড়ক সেতু তৈরির প্রকল্পের কাজও অনেক এগিয়ে গেছে।

 সড়ক ও জনপদ বিভাগের কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বরকত  মোঃ খোরশেদ আলম জানায়,  ৬’শ ৩ মিটার দৈর্ঘ্য ১০.২০৫ মিটার প্রস্থ সড়ক সেতুর কাজ ২০১৮ ইং মাঝামাঝিয সময়ে শুরম্ন করা যাবে।

 অপরদিকে, সিএনএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন সরকার রফিক আহমেদ জুয়েলের একানত্ম সাড়্গাৎকারে জানা কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা।

 সভাপতি জুয়েল বলেন- ভারতের ৭টি অঙ্গরাজ্যের মুখ সোনাহাট স্থল বন্দর হওয়ায় ভৌগলিক কারণে স্থল বন্দরটি হতে পারে দ্বিতীয় বেনাপল।

 এর জন্য প্রয়োজন ভারতীয় এসআরও জটিলতার অবসান। খুব শীঘ্রই চালু করতে হবে পাথর ও কয়লার মতো বাকি ৮টি পণ্যের আমদানি।


 রপ্তানি করতে হবে দেশীয় পন্যগুলো সরাসরি এ রম্নটে যাতায়াত অনুমতি না খাতায় সাড়ে ৪’শ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বুড়িমারী হয়ে ঘুরে যেতে হয় আসাম রাজ্যের ধূবরী জেলার গোপালগঞ্জ থানায়।

অনেক সময় এলসি ফেল হলে টাকা ফেরত পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সিএনএফ এজেন্টদের । তিনি অভিযোগ করতে বলেন আমাদের দেশীয় বডারগার্ড ও কাস্টম কর্তৃক কোন জটিলতা না থাকলেও ভারতীয় বিএসএফ’র মাধ্যমে সৃস্ট সমস্যা বন্দর এলাকায় মাঝে মধ্যে প্রকট আকার ধারণ করে।

ভারতীয় ট্রাক বোঝাই পাথর ও কয়লা স্থল বন্দরে প্রবেশ করে আনলোড করতে করতে একটু বিকাল গড়িয়ে গেলেই বিএসএফ তাদের দেশীয় ট্রাকগুলো সেদিন আর ভারতের ভিতরে ঢুকিয়ে নেয় না।

যার ফলে জায়গা সংকুলানের ব্যাপারে আমরা কর্তববিমুর হয়ে পারি। কুড়িগ্রামের সাত বারের গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শামসুল ভোলা (৪০), আজিজুল হ (২১) ও লায়ন (২)।

তারা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নছিমনের পাটাতনের নিচে বিশেষ ভাবে রড়্গিত করে গাঁজা আনার সময় সদর থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ এর হাতে আটক হয়।

 এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদক দ্রব্য অফিসের সদস্যরা। থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে সদর থানায় গড়ে মাদকের মামলা হচ্ছে ২০-২৫টি। অন্যান্য মামলা রয়েছে স্বাভাবিক।

এসএম আব্দুস সোবহানের চৌকস কার্যক্রম পর্যালোচনা করে জেলা পুলিশ প্রশাসন তাকে টানা সাত বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ঘোষণা করেছে। শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে প্রতিবার সনদপত্র, ক্রেস্ট ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হয়।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top