সাপাহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সৃষ্টি হবে

S M Ashraful Azom
the employment will be created very wide

গোলাপ খন্দকার, সাপাহার প্রতিনিধি: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক দেশের প্রতিটি জেলায় কর্মসংস্থানের লক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য নওগাঁ-১আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি মহোদায়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী,তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফাহাদ পারভেজ বসুনীয়াও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার এদের সম্মিলিত ভাবে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলাকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জোর সুপারিশ পাঠিয়েছে। 

সে লক্ষে নির্বাহী অফিসার ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় উপজেলা সদরের অদুরে খেড়ুন্দা মৌজায় সাপাহার-খঞ্জনপুর বিওপি ক্যাম্প রাস্তার উত্তর পার্শ্বে জাতীয় সড়ক, নদী, আকাশ পথ, বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা সহ যাবতীয় অবকাঠামোগত সুবিধাদির প্রতি লক্ষ রেখে ২৫৫.১৫একর সম্পত্তির প্রস্তাব জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে এই উপজেলা গঠিত, বৃটিশ ও পাকিস্তান শাসনামলে উপজেলাটি পোরশা থানার অর্ন্তভূক্ত ছিল। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় ১৯৭৯সালের অক্টোবর মাসে পোরশা থানা হতে পৃথক হয়ে সাপাহার থানায় রুপান্তরিত হয়। 

স্বাধীনতা পরবর্তী থানা হলেও বর্তমানে এই উপজেলায় প্রায় ২লক্ষ মানুষের বসবাস। ভৌগলিক দিক দিয়ে সাপাহার উপজেলা একটি বরেন্দ্র এলাকা এখন কার প্রধান অর্থকরি ফসল ধান, গম ও আম। সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা হলেও ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা শিক্ষা, উন্নয়ন ও শিল্পের দিক দিয়ে দেশের বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। উপজেলা সদরে অনার্স সহ ১টি সরকারী ডিগ্রী কলেজ, অনার্স সহ একটি মহিলা ডিগ্রী কলেজ, আল হেলাল ইসলামী একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ,ঐতিহ্যবাহী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নারী শিক্ষার জন্য সাপাহার জামান নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সহ অনেক মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। 

সদরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশ কয়েকবার বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে জেলার মধ্যে সাপাহার উপজেলা একটি শিক্ষা নগরী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে চলেছে। সাপাহার উপজেলার সাথে দেশের রাজধানী সহ বিভিন্ন অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাবস্থা যথেষ্ট উন্নত। ইতিমধ্যেই সাপাহার উপজেলার সীমান্তে খঞ্জনপুর বিওপি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় ভারতের সাথে ব্যাবসা ভিত্তিক স্থল বন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ স্থানটি পরিদর্শন করেছে। এই উপজেলায় স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে এই উপজেলায় একটি স্থলবন্দর ও একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে এক দিকে যেমন সরকারের সমতা ভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক উন্নয়নের অঙ্গীকার পূরণ হবে, অন্য দিকে উপজেলার হাজার হাজার খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে সে সাথে এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ড উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

উপজেলাবাসী নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় একটি স্থলবন্দর ও কৃষি ভিত্তিক অথবা মিশ্র অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর/বিভাগের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
 -
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top