সাপাহারে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা মেলায় দর্শনাথীর ভীড়

S M Ashraful Azom
Sapahar village fairগোলাপ খন্দকার সাপহার(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গ্রাম বাংলার ঐত্যিবাহী গম্ভীরা মেলায় দর্শনাথীর উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গিয়েছে মেলাটি বছরের ২য় দিন উদযাপন করা হয়ে থাকে।

বাংলা মাসের শেষে আবার শুর হয় বছরের প্রথম মাস বৈশাখ মাস ও প্রথম দিন, এ দিন টি উদযাপনে বাঙ্গালীরা বিভিন্ন উৎসবে মেতে উঠতো আনন্দ উল্লাসে কিন্ত কালের আবর্তনে এ দিবস গুলোকে ঘিরে তেমন উৎসব না দেখা গেলাও সদরের পাশে মানিকুড়া শিব মন্দির এলাকায় প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও মানিকুড়া শিব মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে গ্রাম বাংলার গম্ভীরা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বাঙ্গালিরা এ মেলা উপভোগ করেছে দিন ব্যাপী এ মেলায় সকল বয়সের মানুষ যেন বাধ ভাঙ্গা উৎসবে আনন্দে মেতে উঠেছিল।
Gambhirir fair of Bengalসাপাহার উপজেলায় বিনোদনের জন্য কোন আনন্দ কেন্দ্র না থাকায় বৈশাখ মাসের প্রথম দিন পাশের উপজেলা পত্নিতলার ঐতিহাসিক দিবর দিঘীতে ঘুরতে গিয়ে বিরক্ত হয়েছে অনেকে।দিবর দিঘীও তার ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে দেখার মত কিছুই নেই,নেই কোন বিনোদনের ব্যাবস্থা।


আরও পড়ুন>>মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় দেরি করে ঘুম থেকে ওঠাতাই এলাকা বাসীর দাবি এলাকায় যদি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে ওঠে তাহলে সাপাহার উপজেলা শিক্ষায় আরো এগিয়ে যাবে। পড়ালেখার ঘোর কাটাতে বিনোদনের প্রয়োজন আছে তাই অতিশীঘ্রই সাপাহার উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হলে নওগাঁ জেলায় শিক্ষায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা ও সর্বচ্চো ফলাফল করে জেলায় শীর্ষ স্থান অর্জন করবে এই সাপাহার উপজেলা।
Sapahar village The crowd Gambhirir fair of Bengalসাপাহার উপজেলার এই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা মেলাটি যদিও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শিব পূজা হিসেবে সমবেত হয় তার পরেও এটি বৈশাখ উদযাপনে বাঙ্গালির সব ধর্ম বর্ণের মানুষের প্রাণের মেলায় রুপ নেয় প্রায় সকলে এ মেলায় সমবেত হয়।


আরও পড়ুন>>শাহরাস্তিতে অপরুপা নাট্যগোষ্ঠীর র‍্যলি ও আলোচনা সভাআধুনিক শহরের মেলায় চিরায়ত গ্রামীণ ঐতিহ্যের সেই শক্তিশালী  অবস্থান আর নেই। যাত্রা বা নাটক প্রদর্শনীর স্থান দখল করেছে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।কৃষি জাত পণ্যের স্থলে বেশি শোভা পায় শিল্পপণ্য, মাটির তৈরি হাতি ঘোড়া বাঘ সিংহ ও মাটির ব্যাংক সহ বিভিন্ন ধরনের খেলনার স্থলে  শোভা পেয়েছে প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক খেলনাই বেশি। এই মেলায় আধুনিকতার ছোয়াই বেশি আগের ঐতিহ্য তুলে ধরতে বিলুপ্ত হওয়া সংস্কৃতি গুলোকে প্রাধান্ন দিতে হবে এবং সেগুলোকে সংগ্রহ করতে হবে এ মেলায়।


তাই এই এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করে এই গ্রাম বাংলার মেলা গুলো ধরে রাখতে হবে তাহলে নতুন প্রজম্ম হারানো ঐতিহ্য সর্ম্পকে জানতে পারবে।



#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top