
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম বহিষ্কার করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিএনপিতে আর জামায়াত থাকছে না এরকম গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তিন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল ভারত থেকে ফেরার পর থেকেই। এই খবর পাওয়ার পর থেকেই বিএনপিতে শুরু হয়েছে কোন্দল। কিছু নেতা কর্মীরা চাচ্ছে দল থেকে জামায়াতকে বহিষ্কার করা হোক। অপরদিকে অন্য কিছু নেতা কর্মীরা বলছেন যে জামায়াতকে বিএনপি থেকে আলাদা করা হবে না। বহিষ্কার করা হবে, হবে না এই নিয়ে চলছে অন্তঃকোন্দল।
এই কোন্দলের মাঝে কড়া হুমকি দিয়ে বসেছে জামায়াতের কিছু শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মী। তাদের মতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদেরকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার জন্য মুচলেকা দিয়ে এসেছেন। গত কয়েক মাস ধরেই নানা রকম বিষয় নিয়ে কোন্দল বিদ্যমান। জামায়াতের এই ঘটনা যেন আগুনে অনেকটা ঘি ঢালার মতো।
জামায়াত বলছে বিএনপির অনেক গোপন তথ্য যা জনসম্মুখে ফাঁস করে দিবে। এছাড়া বিএনপির অর্থের সিংহভাগ যোগান দিয়ে আসছে জামায়াত। জামায়াতের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যার মাধ্যমে অর্থ পেয়েছে বিএনপি। বিএনপি যদি জামায়াতকে বহিষ্কার করে তাহলে তাদের অর্থের সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হবে।
বিএনপির নেতা কর্মীরা অনেক আগে থেকে তাদের নিজেদের আখের গুছানোর জন্য ব্যস্ত ছিল। রাজনীতির মাঠে দীর্ঘ দিন ধরে উত্তাপ ছড়িয়েছে। দলের মিছিল, মিটিং, সমাবেশ সহ নানা কর্মকান্ডে বিএনপির কাউকে পাওয়া না গেলে ও সব সময় পাওয়া গেছে জামায়াতের নেতাকর্মীদের। বিএনপি জামায়াতকে বহিষ্কার করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবেনা। সব থেকে বড় কথা জামায়াত বিএনপির সকল কুকর্মের মদদদাতাদের খবর সম্পর্কে অবগত। বিএনপি গর্ত খুঁড়তে গিয়ে কেঁচোর বদলে কুমির বের হলে হিতে বিপরীত হবে।
জামায়াত যদি বিএনপির অর্থের উৎস, মাদক ব্যবসা, অস্ত্র মামলা সম্পর্কে সব তথ্য ফাঁস করে দেয় তাহলে বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আগের মতো থাকবে না কিনা এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছে তারা। বিএনপি বর্তমানে জামায়াতকে নিয়ে আছে সন্দিহান। তারা জামায়াতকে রাখবে নাকি বহিষ্কার করবে।