
সেবা ডেস্ক: আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখনও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তরফ থেকে কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে প্রার্থীতা ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। একাধিক সূত্র মারফত জানা গেছে, সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের জনপ্রিয়তার প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া নিয়ে সংশয়ে পড়ে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত করার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে, গত ২৫ জুন রাতে সিলেটে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি। প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তিনি নগরীর কুমারপাড়াস্থ মালঞ্চ কমিউনিটি সেন্টারে ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে- মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমও ছিলেন সরব। সেলিম তার শাহী ঈদগাহস্থ বাসায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে প্রার্থীতা ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২৫ জুন রাতেও বিএনপির তরফ থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। মেয়র পদের প্রার্থীতা নিয়ে সিলেট বিএনপির ‘চোখ’ এখন লন্ডনের দিকে। লন্ডনের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর ঢাকা থেকে মেয়র পদের প্রার্থীতা ঘোষণা করা হবে। ওখানে অবস্থান করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে- সিলেটের প্রার্থীতা নিয়ে এখনো দলের শীর্ষ মহলে আলোচনা চলছে। কয়েকটি বিষয় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণও করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে- আরিফ সিলেটের কর্মীঘেষা নেতা না হলেও তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিএনপি থেকে তিনিই একমাত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে ভালোভাবে টক্কর দিতে পারেন। কিন্তু টক্কর দিলেও টিকে থাকার বিষয়টি সংশয়ের মুখে পড়েছে। তবে আরিফকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় না সিলেট বিএনপির বর্তমান কর্ণধাররা। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির পদবিধারীদের বড় অংশের নেতারা আরিফের পক্ষে নেই।
এদিকে শেষ মুহূর্তের আলোচনায় আরিফের সঙ্গে রয়েছে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম। তিনি জানিয়েছেন- দলের হাইকমান্ড থেকে এক বছর আগেই তার পক্ষে ‘গ্রিন সিগন্যাল’রাখা হয়েছে। তিনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ও রয়েছে। তার পক্ষে নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত বলেই উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপির তৃণমূলের নেতারা মনে করছেন, সিলেটের বিএনপির প্রার্থী নিয়ে টানাহেচড়ার ফলে আরিফকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। এতে করে ভোটের মাঠে আরিফের পক্ষে যে জোয়ার ছিল সেটির ভাটা পড়েছে। এই জোয়ার তুলতে হলে আরিফকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়বে দলীয় নেতাদের। কিন্তু দলীয় নেতারা শেষ মুহূর্তে তার পক্ষে কতখানি মাঠে সক্রিয় হবেন- সেই প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।