সেবা ডেস্ক: এ মাসের গত ৩ জুন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এ কমিটি গঠনের কিছুদিন পরেই নানারকম অভিযোগ আসে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের কাছ থেকে। গঠিত এ কমিটিতে রাজনৈতিক ইতিহাস এবং দলের প্রতি নেতাদের একাগ্রতা বিবেচনায় না এনে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
১৮ জুন সোমবার বিএনপির মহাসচিবের উত্তরার বাসায় সদ্য ঘোষিত ঢাকার থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাদের একাংশ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সংক্ষুব্ধ নেতারা ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের বিরুদ্ধে সদ্য ঘোষিত থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনে স্বজনপ্রীতি, পদ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে ধরেন মির্জা ফখরুলের কাছে। তারা বলেন, সভাপতি এম এ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, সিনিয়র সহ- সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলামের পছন্দের লোকদের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিতে পদ দিয়েছেন। এই ৪ নেতার পছন্দের বাইরে কমিটি গঠনে অন্য নেতাদের মতামত প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।
বিগত দিনের আন্দোলনে নির্যাতিত, ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে কমিটিগুলোতে। এসব কমিটিতে অনেক নেতার দেহরক্ষী, মাদক ব্যবসায়ী, নিষ্ক্রিয় নেতারা পদ পেয়েছেন। এমনই অভিযোগ বিদ্রোহী নেতাদের। বিএনপির নেতারাই যখন সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে এমন অভিযোগ তুলছে তখন আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে, কেন এবং কি কারণে এমন অথর্ব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন যে, সমালোচিত এ কমিটির শতকরা ৭০ ভাগ নির্বাচিত সদস্য দলের সিনিয়র নেতাদের মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কমিটিতে নিজেদের পদ নিশ্চিত করেন। সততা, দলের প্রতি ভালোবাসা, পূর্ব রাজনৈতিক ইতিহাস কমিটি নির্বাচনে প্রাধান্য পায়নি।
বিএনপির গঠিত নতুন এ কমিটির বিরুদ্ধে করা অভিযোগ বিবেচনায় বলা যায়, শুধু নিজেদের বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই নয়, দলের মধ্যেও শিষ্টাচার বহির্ভূত রাজনীতির সূচনা করেছে তারা।