
সেবা ডেস্ক: আগামী ২৬জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবং বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকার তাদের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গাজীপুরবাসী ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত করবেন তাদের সুযোগ্য নগরপিতা। তারা ইতিমধ্যে যোগ্য প্রার্থীর প্রতি তাদের ভালোবাসা,সম্মান প্রদান করা শুরু করেছেন।
হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে তিনি একজন খুনি পরিবারের সদস্য। গাজীপুরবাসী চাননা তাদের নগরপিতা কোনো খুনি পরিবারের সদস্য হোক। হাসান উদ্দিন সরকারের বড় ভাই বিএনপির প্রবীণ নেতা নুরুল ইসলাম সরকার গাজীপুরের জনপ্রিয় আওয়ামী লীগের নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টারের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন।
তাছাড়া পুরো দেশবাসীর জানা আছে বিএনপির আক্রমণাত্মক,ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক সম্বন্ধে। গাজীপুরবাসী আবার সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি করতে চাননা। এজন্য ভোটারগণ হাসান উদ্দিনের প্রচার প্রচারণায় আশানুরূপ ভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে কুখ্যাত হাসান উদ্দিন নানা রকম চক্রান্ত শুরু করেছেন। কিছুদিন আগে তিনি এক ইফতার অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রার্থীদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে তিনি বোমা মেরে গুড়িয়ে দিবেন।
হাসান উদ্দিন সরকার নির্বাচনকে ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নির্বাচন বিরোধী নানা রকম অপপ্রচার শুরু করেছেন। শুধু তাই নয় বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে তিনি নির্বাচনের দিন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটানোর জন্য প্রচুর পরিমানের অস্ত্র গোলাবারুদ মজুদ করছেন। তিনি বেশ ভালো করে বুঝতে পেরেছেন যে গাজীপুর নির্বাচনে তিনি কখনো জয়ী হবেন না এমনকি এলাকার মানুষ তাকে গ্রহণ করছেন না এবং করবেনও না।
গাজীপুরবাসী তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত দিবেন ব্যালট বক্সে। এলাকাবাসী চান এলাকার উন্নয়ন। সরকার বিরোধী ,স্বাধীনতা বিরোধী কেউ দেশের ক্ষমতাসীন আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারে না। সরকারের কোনো প্রার্থী বিজয়ী হলে গাজীপুরের উন্নয়ন নিশ্চত হবে এবং শিল্পকারখানার প্রসার হবে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য ২৬ জুন পর্যন্ত দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে। ঐ দিন মিথ্যার, প্রতিহিংসার রাজনীতি,নাশকতার রাজনীতির পরাজয় হবে বলে আশাবাদী পুরো গাজীপুরবাসী।