ব্যর্থ হাতে ফিরলেন গয়েশ্বর

Seba Hot News
ব্যর্থ হাতে ফিরলেন গয়েশ্বর

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে জোটের দ্বন্দ্ব সমাধান করতে রাজশাহী গিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। অতি সম্প্রতি তিনি রাজশাহী থেকে ফিরেও এসেছেন। কি হাতে ফিরলেন গয়েশ্বর?-এমন প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের। উত্তর এড়িয়ে গেলেও সরেজমিন রাজশাহী ঘুরে জানা যায় গয়েশ্বরের প্রাপ্তি বলতে শুধু কিছু ঘরোয়া বৈঠক।  
দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারের কাছেও যেতে ব্যর্থ গয়েশ্বর। যদিও গয়েশ্বরকে এককভাবে দায় দেয়ার সুযোগ নেই কেননা বিএনপির আজকের দলীয় দ্বন্দ্ব একদিনে এই অবস্থায় আসেনি। বরং তা হয়েছে দীর্ঘদিনের দলীয় প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে। দল ছাপিয়ে যেই দ্বন্দ্ব এখন প্রকট জোটের ভিতর। দলের শৃঙ্খলা বিন্যাস না করে নির্বাচনের পথে এগিয়ে কতটুকু সফলতা পাবে বিএনপি তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

ঝিমিয়ে পড়া প্রচারণায় প্রাণ আনতেই মূলত রাজশাহী গিয়েছিলেন গয়েশ্বর কিন্তু ফিরলেন তিক্ত অভিজ্ঞতায়, রিক্ত হাতে। রাজশাহী বিএনপির নেতাকর্মীদের তীব্র মারমুখি আচরণে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যেন হতভম্ব হয়ে ফিরে গেছেন ঢাকায়। এখানকার নেতাকর্মীদের দশা দেখে তার কাছে হয়ত মনে হয়েছে-এরা নেতা হওয়ার দৌড়ে মাঠে নেমে নিজেদের মধ্যেই যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। তাই যাওয়ার আগে অনেকটা ক্ষোভ ঝাড়া কিছু বক্তব্যও দিতে দেখা যায় বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। তবে বক্তব্য দিলেও পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

রাজশাহী বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, এখানকার মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা থেকে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এরপর ওঠেন রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকায় অবস্থিত হোটেল নাইসে। তখন হোটেলে তার সঙ্গে দেখা করতে যান রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানাসহ প্রমুখ নেতাকর্মী। কিন্তু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কক্ষের সামনে মহানগর যুবদলের সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে বর্তমান সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট এবং সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানার মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে একপর্যায়ে হাতাহাতির দিকে এগুতে থাকে। এতে গোলযোগ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কর্মী সমাবশে শেষ করে বিকেলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিমানযোগে ঢাকা ফিরে যাওয়ার সময় তাকে বিমানবন্দরে বিদায় দিতে যান রাজশাহী বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মন্টু। তবে এবারকার মারপিটের দৃশ্যটি চোখে পড়েনি গয়েশ্বরের। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে ঢাকায় গিয়ে কোন শুভবার্তা দিতে পারছেন না গয়েশ্বর। কেন্দ্রের যে দায়িত্ব তিনি পালন করতে গেলেন তা অধরাই থেকে গেল। আর এরই প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনে।

মানুষ গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন চায় যেখানে তারা পছন্দমত প্রার্থী বাছাই করে নিবেন। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বক্র চিন্তায় হাঁটছে বিএনপি। আর তাই নির্বাচনের আগে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। সব কিছু ছাপিয়ে শান্তিপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন চাচ্ছে দেশবাসী।


ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top