জনগণের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক

S M Ashraful Azom
জনগণের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক

সেবা ডেস্ক: বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো দেশের জনগনের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাটি বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চিন্তা থেকে এসেছে।

দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা গ্রাম পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা প্রদান করছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধিরা এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালনায় অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে দেশে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজননস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনাসেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাত ঈর্ষণীয়ভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রামে-গঞ্জে দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ-সুবিধা কম। কমিউনিটি ক্লিনিক এসব মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাপক সহযোগিতা করছে। এ ক্লিনিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি বিপ্লবের নাম, যে বিপ্লব শুরু করেছিল বর্তমান সরকার। ক্লিনিকে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ বিনা মূল্যে প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হয়। নারীদের সন্তান প্রসবের উপকরণ রয়েছে এবং প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মী রয়েছে। প্রচণ্ড দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কারো ডায়রিয়া, শিশুসন্তান অসুস্থ হলে বাড়ির পাশের এই কমিউনিটি ক্লিনিক একান্ত ভরসা হয়ে কাজ করছে। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোই গরিব মানুষের ভরসা। উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এগুলোই গরিব মানুষের স্বাস্থ্য সেবার আশ্রয়স্থল। আগে গ্রামের দরিদ্র মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হতো। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবার কথা বলতে হতো। এখন সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ নিজেই তার প্রয়োজনে সেবা নিতে আসে। বর্তমান সরকারের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে গ্রামের দরিদ্র মানুষের অনেক ধরনের সেবা দেওয়া হয়। বিশেষ করে মা ও শিশুরা এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পেয়ে থাকে। মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ দুটো সেবা হলো গর্ভ-পূর্ববতী ও পরবর্তী সেবা। এ সেবার জন্য গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কোনো বিকল্প নেই। কোনো কোনো ক্লিনিকে প্রসবের ব্যবস্থা আছে। আমাদের গর্ভ-পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সেবার হার বেড়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের অনেক সফলতা আছে। সফল ক্লিনিক পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি সেবাকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ই-লার্নিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের গ্রামীণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা।



#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top