বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ঘাসির পাড়া গ্রামে একটি রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে পুনরায় ঘর উত্তোলন নিয়ে ধুর্ম্মজাল সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর প্রাথমিক অনুমোদন হলেও পরবর্তী সময়ে বেতন-ভাতা ও সরকারি সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় বিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এমন কি বিদ্যালয়ের ঘরটিও ঘূর্ণিঝরে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
ওই সময়ে শিক্ষা বিভাগ আধা কিলোমিটার ডান পাশে অবস্থিত ডাকপাড়া সাজেদা হক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আধা কিলোমিটার বাম পাশে অবস্থিত আরেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় এই বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে সাড়া দেয়নি। ঘাসির পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ের জমিটি দান করেন। তৎকালীন ৪ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টির সূচনা করা হয়।
শিক্ষকরা খেয়ে না খেয়ে বিদ্যালয়ের খেদমতে থাকলেও বেতন না পেয়ে পরে তারা পেশা বদল করে হতাশার গ্লানি নিয়ে বিভিন্ন কাজ শুরু করে। এরপর বিদ্যালয়ের জমিদাতা শফিকুল ইসলাম ওই জমিতে কাঠের একটি বাগান করে। এখন পর্যন্ত ওই জমিতে ইউক্যালিপটাস গাছের একটি বাগান রয়েছে।
কিন্তু জমি দাতা শফিকুল ইসলামের সাথে যোগসাজশ করে একই গ্রামের আনিছ মিয়া সহ কয়েকজন যুবক আবারো ওই জমিতে একটি বিদ্যালয় ঘর উত্তোলনের পাঁয়তারা করছেন। নতুন করে বিদ্যালয়ের জন্য ঘর উত্তোলনের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ওই ঘর নির্মাণ করার আগেই এলাকাবাসীর মধ্যে কানাঘুষা ও ধুর্ম্মজাল শুরু হয়েছে।
৯৪ সালের প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক কফিল উদ্দিন জানান, আমরা শুনেছি পূর্বের তারিখে (ব্যাক ডেট) পত্রিকায় ভূয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নতুন ভাবে শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করছে। ভূয়া কাগজ তৈরি করে কাঠের বাগানে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের পায়ঁতারা করায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ।
পূর্বের শিক্ষকদের বাদ দিয়ে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপনের পায়তারা করায় তাদের মধ্যেও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানান ব্যাক ডেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ যদি করে থাকে তাহলে এটি মিথ্যা প্রমানের জন্য কাঠ বাগানটিই যথেষ্ট।
গ্রামের লোকজনের দাবি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নতুন করে বিদ্যালয় অনুমোদন ও কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া উচিত।