সেবা ডেস্ক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর উপলক্ষে আগামী ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিব বর্ষ ‘ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গববন্ধু এভিনিউতে ৬৯ বছর পর নবনির্মিত দলের অত্যাধুনিক ১০ তলা বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দেশের স্বাধীনতার সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ শাসন শোষণের বিরুদ্ধে, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ এই মহান ব্যাক্তির জন্মশত বার্ষিকী পূরণ হবে।
ঐ দিন থেকে শুরু করে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সময়ের মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ঐতিহাসিক ৭ জুন ছয় দফা দিবস, শোকাবহ ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের কর্মসূচিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এসব কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে জাতির পিতার জন্মদিনের কর্মসূচি পালিত হবে। এ জন্মদিনের কর্মসূচিতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। ক্রীড়া, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিও থাকবে।
মুজিব বর্ষ সম্বন্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। সপরিবারে জীবন দিয়ে আমাদের ঋণী করেছেন।
তিনি দেশকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। পৃথিবীর বুকে একটি অনন্য দেশ হবে এই দেশ।
তাঁর স্বপ্নের পথ ধরে হাঁটছে বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন যে প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।
তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে এই দেশ বর্তমানে উপচে পড়া ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। যেই দেশের মানুষ এক সময়ে অনাহারে দিন যাপন করত। সেই দেশে আজ দরিদ্র মানুষের সংখ্যা কমেছে বহুগুণে। এক সময় পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণে পিষ্ট ছিল বাংলাদেশ।
সেই বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে। শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয় দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে অনেক উপরে। এসবের নেপথ্যে রয়েছে একজন নায়ক। তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।