ব্রীজ থাকলেও কাজে আসছে না; একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

S M Ashraful Azom
0
ব্রীজ থাকলেও কাজে আসছে না; একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

গোলাম মোর্তবা রিজু, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি: সড়ক আছে, সরকারী ভাবে জনসাধারনের চলাচলের জন্য ব্রীজও নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও প্রায় ৩ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিনই বাঁশোর সাকো দিয়ে স্কুল, কলেজের শিশু থেকে সকল বয়সী মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে ব্রীজের সাথে বাঁশের সাঁকো দিয়ে।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের সাঙ্গুরা-রতনদিয়া সড়কের কেদার হালটের উপর ব্রীজটি নির্মাণ করা হয় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসুচির আওতায় উপজেলার সাগুরা-রতনদিয়া রাস্তার কেদার হালটে ১৭,৯৩,৬৭৯/- টাকা ব্যয়ে ২২ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়া গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষের মাঠ থেকে ফসল আনতে হলে ব্রীজটি একমাত্র ভরসা। এছাড়া সাঙ্গুড়া থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাট যাতায়াতের সহজ পথ হিসেবে এই ব্রীজটি একমাত্র মাধ্যম। এই বিপুল সংখ্যাক মানুষের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচীর আওতায় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজ নির্মাণের পরই ব্রীজটি কিছুটা দেবে যায়। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে তীব্র পানির ¯্রােতের কারণে ব্রীজের এক অংশ থেকে মাটি ভেঙ্গে আবার খালের সৃষ্টি হয়। এতে ব্রীজটি দিয়ে চলাচলের অনুয়োপযোগী হয়ে পড়ে। সাধারন মানুষ ও যানবাহন চলাচলসহ মাঠ থেকে ফসল আনতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। চলাচলের জন্য স্থানীয় ভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রীজটির এ অবস্থার কারণে সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন নিত্য দিনের হয়ে দাড়িয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্ধা আকাশ আহম্মেদ, গিয়াস মিয়া, নিজাম তালুকদার, মতিয়ার মোল্যা জানান, ব্রীজটি নির্মাণ করার খুব বেশী দিন আমরা ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করতে পারি নাই। বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রীজটি দিয়ে চলাচল উপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ব্রীজটি দিয়ে সাঙ্গুরা থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাট যাতায়াতের সহজ পথ হওয়ার কারণে আমাদের জন্য ব্রীজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন আমাদের নিত্য দিনের হয়ে দাড়িয়েছে। ব্রীজটি যাতে দ্রুত সংস্কার পুর্বক চলাচলের উপযোগী করা হয় তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা জানান, ব্রীজের বর্তমান অবস্থা আমার জানা নেই। বছর খানেক আগে হেড অফিস থেকে লোক এসে তদন্ত করে গেছে। তারা এখন পর্যন্ত কোন নির্দেশনা আমাকে দেয় নাই। ব্রীজ দিয়ে চলাচল উপযোগী করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নাই।

⇘সংবাদদাতা: গোলাম মোর্তবা রিজু
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top