তাড়াশে কুমড়ো বড়ি বিক্রী করে ভাগ্য উন্নয়ন অনেক অসচ্ছল পরিবারের

S M Ashraful Azom
0
তাড়াশে কুমড়ো বড়ি বিক্রী করে ভাগ্য উন্নয়ন অনেক অসচ্ছল পরিবারের
কুমড়ো বড়ি 

আশরাফুল ইসলাম রনি, তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলায় কুমড়া বড়ি তৈরি করে তা বিক্রী করে ভাগ্য উন্নয়ন হয়েছে অসচ্ছল পরিবারের অনেকের।

এদিকে কুমড়া বড়ি তৈরিতে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও এ কাজ করে থাকে। হাট বাজারে কুমড়ো বড়ি খুচরা ১৫০ টাকা কেজি বিক্রয় হয়ে থাকে আর পাইকারি ১২০-১৩০ টাকা। এটি সারা বছর তৈরি করা সম্ভব কিন্তু এটা শীতকালে বেশী তৈরি হয়। কারন এটা শীতের সময় রান্না করে খেতে বেশি মজা লাগে।

গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষের অনেকের ভাগ্য উন্নয়নে শ্রম দিয়ে অনেক বছর ধরে এ কুমড়া বড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের প্রায় ২৫-৩০টি পরিবার। এ পরিবারগুলো এখন স্বাবলম্বী।

কুমড়া বড়ির কারীগর নওগাঁ ভাংশিং পাড়ার আব্দুল হামিদ জানান, আগে কুমড়া বড়ি ব্যবসায়ী পরিবারগুলো প্রথম অবস্থায় তেমন সচ্ছল ছিল না। এখন তারা অনেকটাই সচ্ছল কুমড়া বড়ি ব্যবসা করে।
তাছাড়া বড়ি তৈরির জন্য আগে তারা সনাতন পদ্ধতিতে সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে রাখতেন এবং পরের দিন তারা কুমড়ো বড়ি তৈরির জন্য ডাল, রং,তেল,টিন ও শীলপাট বেটে বড়ি তৈরি করতেন।  কিন্তু বর্তমানে তাদের কষ্ট করতে হয় না। কারণ মেশিনের মাধ্যেমে কুমড়া বড়ি তৈরির ডাল ফিনিশিং করা যায়।

শ্রীমতি কনিকা জানান, কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এখন অতোটা পরিশ্রম করতে হয় না কারন এখন মেশিনের মাধ্যমে ডাল ফিনিশ করা হয়। শুধু হাতে মাধ্যমে দিতে হয় বড়িটি। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির ছোয়ায় অটোমেশিনের দ্বারা ডাল ও চাল ভাঙ্গানো হয়। তাই পরিশ্রম এখন কম।


⇘সংবাদদাতা: আশরাফুল ইসলাম রনি
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top