
সেবা ডেস্ক: উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে এবার বাংলাদেশেও চালু করা হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। এই ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ১০ বছর। বৈশ্বিক চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার নাগরিকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ই-পাসপোর্ট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উন্নত প্রযুক্তির ই-পাসপোর্টের জন্য ডেমোগ্রাফিক তথ্য, দশ আঙুলের ছাপ, চোখের কর্নিয়ার ছবি এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রয়োজন হবে। এজন্য স্থাপন করা হবে একটি কেন্দ্রীয় ডাটা সেন্টার। আবেদনকারীদের পাসপোর্ট একটা বিশেষ সেন্টার থেকে প্রিন্টিংয়ের পর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং দূতাবাসগুলোতে পাঠানো হবে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ও দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট এর আবেদনকারীরা সহজে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে জার্মানি।
ই-পাসপোর্ট চালু করতে এরই মধ্যে চার হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
এই প্রকল্পের কাজ ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা সম্ভব হবে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্নিষ্টরা।
সংশ্নিষ্টরা জানান, জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডস গ্যাব এইচ বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, জার্মান প্রতিষ্ঠান ভেরিডস গ্যাব এইচ বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট তৈরিতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফরকালে এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালুর বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে সরাসরি জি টু জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এর আওতায় সরকার তিন কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সংগ্রহ করবে। ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানি করা হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, এর আওতায় সরকার তিন কোটি ই-পাসপোর্ট বুকলেট সংগ্রহ করবে। ২০ লাখ ই-পাসপোর্ট বুকলেট আমদানি করা হবে।
দেশে উৎপাদন করা হবে দুই কোটি ৮০ লাখ ই-পাসপোর্ট। নিরবচ্ছিন্নভাবে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যেমন সার্ভার, রাউটার, সুইট, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ক্যামেরা, ই-পাসপোর্ট রিডার, প্রিন্টিং মেশিন স্থাপন করা হবে প্রকল্পের আওতায়।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি প্রর্বতন করে। কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় পাসপোর্টের জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) গাইডলাইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালের ১ এপ্রিল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) পদ্ধতি প্রর্বতন করে। কিন্তু এমআরপি ব্যবস্থায় পাসপোর্টের জালিয়াতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ ছাড়া এ পদ্ধতিতে দশ আঙুলের ছাপ ডাটাবেজে সংরক্ষণ করার সুযোগ নেই। এ পদ্ধতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতা ধরা পড়ায় ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে অনুভূত হচ্ছে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর মতামত দিতে গিয়ে এক প্রতিবেদনে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (বিকল্প দায়িত্বে) শামীমা নার্গিস বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের ওপর মতামত দিতে গিয়ে এক প্রতিবেদনে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (বিকল্প দায়িত্বে) শামীমা নার্গিস বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
এতে একদিকে বাংলাদেশি পাসপোর্টের নিরাপত্তা বাড়বে, অন্যদিকে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০২০ সালে মধ্যে ই-পাসপোর্ট প্রচলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বহির্বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সর্বশেষ উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পাসপোর্ট ইস্যু, পাসপোর্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি এবং ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাংলাদেশি নাগরিক ও আগত বিদেশি নাগরিকদের সুষ্ঠুভাবে গমনাগমন নিশ্চিত করতেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সরকার।
এই ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের যেকোনো স্থান হতে ওই পাসপোর্ট ধারীর নম্বর সার্চের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে। ই-পাসপোর্ট বাস্তবায়ন হলে বিদেশে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।