
সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি :জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চলতি মওসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উন্নত জাতের ধান বীজ, সার, কীট নাশক ব্যবহারে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দেওয়ায় আমন চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছে। স্বল্প সময়ে শুরু হয়েছে ধান কাটা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, ১২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা ছিল। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ১৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়। যে সমস্ত জমিতে ধান গাছ দাঁড়ানো আছে সে সব জমিতে কম্বাইন হারবেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। এক বিঘা জমিতে ধান কাটার সাথে সাথে মাড়াই করতে সময় লাগে মাত্র ৪০ মিনিট। এতে খরচ হয় মাত্র এক হাজার ৫০০ টাকা। অপরদিকে শ্রমিক দিয়ে কাটতে ও মাড়াই করতে খরচ হয় তিন হাজার ৫০০ টাকার অধিক। সময়ও লাগে বেশি। তাই স্থানীয় কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। উন্নত জাতের ধানি গোল, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৫২, ব্রি-৬২, বিনা-৭, বিনা-১১, পাইজাম, গাইঞ্জা চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সর্বদা কৃষকদের পাশে সরাসরি মাঠে কাজ করে। তারা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারনা দেওয়ায় ধানে ভালো ফলন হয়েছে।’ কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা গ্রামের ইজ্জত আলী মন্ডল, সাতপোয়া ইউনিয়নের ছাতারিয়া গ্রামের মালদার তালুকদার, মহাদান ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেন, ভাটারা ইউনিয়নের মোহনগঞ্জ গ্রামের ঠান্ডু মিয়া, আওনা ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের আমির হোসেনসহ অনেক কৃষক জানান, ‘কৃষি অফিসের সার্বক্ষনিক সহযোগিতা ও পরামর্শ থাকায় আগের চেয়ে দ্বিগুন ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছি।’
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।