ইসলামপুর ॥ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ইসলামপুর আসনে বিএনপির প্রার্থী নির্ধারিত হলেও মাঠে কোন নেতাকর্মীর দেখা নেই।
দলীয় সূত্রে জানাগেছে, দলীয় মনোনয়নে ইসলামপুরে তিনজন সুলতাম মাহমুদ বাবু,আঃ হালিম ও মনোয়ার হোসেন বিএসসিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার সুলতান মাহমুদ বাবুকে চড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলীয় ভাবে মনোনয়ন পাওয়ার পরেও নেতাকর্মীদের কোন সাড়া শব্দ নেই। নেই কোন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ও আলোচনা।
আরো জানাগেছে, তৎকালিন আওয়ামী গ্রুপিংয়ের কারনে ২০০১সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে সুলতাম মাহমুদ বাবু সহজেই এই আসন থেকে নির্বাচিত হন। সেই সাথে তিনি এলাকার উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন।
সেই সময় সাবেক ক্যাবিনেট সচিব আঃ হালিম এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি রাজনীতির দিকে একটু আটটু দৃষ্টি দেন। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও মাঝের মধ্যে পায়ের ধুলি পড়তো তার। হঠাৎ বিএনপি সরকারে থাকার পর অবসরে যাওয়ার তিনমাস আগেই মাঠে নেমে পড়েন। সেই থেকে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা সুযোগ সুবিধা নিতে তার কাছে ভীড় জমান। অবসরে যাওয়ার পরে তিনি বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদ দখল করে নেন। সেই থেকে ইসলামপুরে বাবু-সচিব গ্রুপিং হয়ে অধ্যবদি পর্যন্ত চলে আসছে। বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা সেই সময় থেকেই সচিব গ্রুপে অবস্থান করেন। একসময় বিএনপিং গ্রুপিং চরম আকার ধারন করায় দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হামলা,মামলার হয়েছে একাধিক। হঠাৎ আঃ হালিম সচিব অসুস্থতার কারনে ইসলামপুর আসা ছেড়ে দিয়ে সাবেক এমপি আবারো সভাপতি পদ টি দখল করে ঢাকায় অবস্থান করে রাজনীতি শুরু করেন।
এছাড়াও আঃ হালিম সচিব কেন্দ্রীয় বিএনপির উপদেষ্টা হয়ে ঢাকায় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এ সময় আন্দেলন সংগ্রামে একাধিক মামলার আসামী হয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন। পূর্ব থেকেই অভ্যান্তরীন দলীয় কোন্দল চরমে থাকার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে সঠিক নেতৃত্বে অভাবে নানা দ্বিধাদন্ডের মধ্যে রয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন অভ্যান্তরীন কোন্দলের কারণেই বিএনপি আশার আলো দেখতে পাবেনা।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।